
বাঁকুড়া মিমস, অর্থাৎ, বিএমএস-এর সাম্প্রতিকতম ইউটিউব কনটেন্ট জনপ্রিয় যদুবাবুকে নিয়ে। সেখানে যদুবাবুর প্রিয় ছাত্রী প্যাঁড়াকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যদিও ভিডিয়ো জুড়ে সশরীরে হাজির নেই প্যাঁড়া, তথা অভিনেত্রী স্নেহা চট্টোপাধ্যায়। প্যাঁড়া নাকি নিখোঁজ! সে নাকি পালিয়ে গিয়েছে বিয়ে করতে। এদিকে অভিনেত্রী স্নেহা চট্টোপাধ্য়ায় বিএমএস ছেড়েছেন কয়েকদিন আগেই। প্যাঁড়ার চরিত্রটিকে আলবিদা জানাতেই এই প্যাঁড়া-বিশেষ এপিসোড। ভিডিয়ো আপলোড হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে নেটিজ়েনরা বলছেন, প্যাঁড়ার নাকি সত্যিই বিয়ে হয়েছে। এর মানে অভিনেত্রী স্নেহা চট্টোপাধ্যায়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। সত্যিই কি তাই? সঠিক খবর TV9 বাংলা শুনল স্নেহার মুখ থেকেই।
এখন বিয়ের মরশুম। চারদিকে বিয়ের সানাই। এমন সময় বিএমএস থেকে প্যাঁড়া চরিত্রের ইতি এবং স্নেহার বিয়ের খবর, সত্যি হলেও হতে পারে। তবে বিষয়টি ট্রোলিংয়ের পর্যায় পৌঁছে গিয়েছে এবং তা স্নেহাকে বেশ ব্যথা দিয়েছে। তিনি বেশ ক্ষিপ্ত হয়েছেন। মনে কষ্টও পেয়েছেন। TV9 বাংলাকে বলেছেন, “আমার বিয়ে হয়নি। কিন্তু প্যাঁড়ার বিয়ে হয়েছে। আমার সঙ্গে প্যাঁড়াকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক না। আমি একজন স্বতন্ত্র মানুষ। প্যাঁড়া একটি চরিত্র। আমরা দু’জনে সম্পূর্ণ আলাদা। গুলিয়ে ফেলার কিছু নেই।”
কিন্তু প্যাঁড়ার মতো এত্ত জনপ্রিয় একটি চরিত্র হারিয়ে যাওয়ায় অনেক অনুরাগীই কষ্ট পেয়েছেন। তাঁকে মিস করতে শুরু করেছেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে জিয়া নস্ট্যাল স্নেহারও। বললেন, “সত্যি বলতে আমি কোনওদিনও প্যাঁড়াকে ভুলব না। সে আমার অন্তরে থাকবে চিরকাল। একজন অভিনেত্রীর কাছে এর চেয়ে বেশি আর কীই বা চাওয়ার থাকতে পারে…।” বলতে-বলতে আবেগতাড়িত হয়ে যান স্নেহা।
তবে প্যাঁড়াকে কি আর-একটু ধরে রাখা যেত না। ‘না, যেত না’, জানালেন স্নেহা। কারণ, তিনি বিএমএস ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু কেন? বললেন, “আমার সঙ্গে উন্মেষদের কাজ নিয়ে মতবিরোধ হচ্ছিল। সেই কারণেই বিএমএস ছাড়লাম।” আর উন্মেষের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন…? ‘এক্কেবারেই না’, সে রকম কোনওদিনও কিছু হয়নি স্নেহা-উন্মেষের মধ্যে। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, “বাঁকুড়া মিমস উন্মেষের চ্যানেলে। আমি একজন ফ্রিল্যান্স অভিনেত্রী। আমি কাজ করতে এসেছি। এসব এক্কেবারেই ঠিক না…”
বাঁকুড়া মিমসের গোটা টিম এখন বাঁকুড়া থেকে কলকাতায় চলে এসেছে। নতুন টিম নিয়ে কাজ করছেন উন্মেষ গঙ্গোপাধ্যায়। আর স্নেহা বাঁকুড়াতেই। বাঁকুড়া মিমস ছেড়ে তিনি খুলেছেন নিজের চ্যানেল। সেই চ্যানেলের নাম ‘স্নেহা চ্যাটার্জি (উড়নচণ্ডী)’। প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে ভ্লগ তৈরি করবেন স্নেহা। স্রেফ বিনোদনমূলক ভিডিয়োও থাকবে সেখানে। কলকাতায় কিছু প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গেও কাজের কথা চলছে তাঁর। স্বপ্ন বড় অভিনেত্রী হওয়ার। তা হলেই ‘উড়নচণ্ডী’ থিতু হবেন একটি জায়গায়…