২৫ বছর হয়ে গেল যশ চোপড়া পরিচালিত ছবি ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ ছবির। এই ছবি বলিউড সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক কিছুর পরিবর্তন করেছে। বলা যেতে পারে নতুন ট্রেন্ড সেট করেছে ছবি। শাহরুখ খান, মাধুরী দীক্ষিতের রসায়ন পাওয়া যায়। করিশ্মা কাপুরের কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ছবি এটি। এই ছবির জন্য তিনি বেস্ট সহঅভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার পান। আর যশ চোপড়ার এই ছবি দিয়েই আর একজন বলিউডে নিজের ডেবিউ করেন। সঙ্গে পান বেস্ট কোরিওগ্রাফারের জাতীয় পুরস্কার। হ্যাঁ, তিনি শিয়ামক দাভর। সিনেমায় তাঁকে দিয়ে কোরিওগ্রাফি করানোর কথা যশ চোপড়াই ভাবতে পারেন। শিয়ামকও তাঁর এই যাত্রা নিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “আমি ভাবতে পারিনি এই ছবির ডান্স এই ভাবে প্রভাব ফেলবে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে। তবে এত বছর পর যখন দেখি এখনও মানুষের মধ্যে তার প্রভাব রয়েছে, সত্যি আমি কৃতজ্ঞ এর অংশ হতে পেরে”।
শিয়ামক দাভর আন্তর্জাতিক স্তরে ডান্স কোরিওগ্রাফার। বড় বড় শো করেন। তিনি সিনেমায় কোরিওগ্রাফার হিসেবে আসতে পারেন, তা ভেবেছিলেন যশ চোপড়া। ছবিও ছিল ডান্স নিয়ে। আন্তর্জাতিক স্তরে কোরিওগ্রাফি সিনেমাতে ব্যবহার করা যায় ইন্ডাস্ট্রি তথা দর্শক প্রথমবার দেখলেন ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ ছবিতেই। তারপর থেকে বিলউড সিনেমাতেও আন্তর্জাতিক মানে কাজ হতে শুরু করে।
ছবি গান হোক বা ডান্স আজও দর্শকের স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করছে। ‘ডান্স অফ এনিমি’ কিংবা ‘লে গেয়ি’-আজও রিক্রিয়েট করা যায়নি। বলিউডের আইকনিক হিসেবে ২৫ বছর পরও থেকে গিয়েছে। শিয়ামক ফিরে গিয়েছেন ২৫ বছর আগে। সেই সময়ের পর্দার পিছনের একটি ভিডিয়ো ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে শিয়ামক লেখেন, “প্রথম সব সময় বিশেষ হয়। আর সেই প্রথম কাজ যদি হয় যশজির মতো লেজেন্ডের সঙ্গে, তা তাহলে বাড়তি মূল্য পায়। #২৫বছরডিটিপিএইচ। সবাইকে ধন্যবাদ এতো বছর ধরে ভালবাসার জন্য।#কৃতজ্ঞ”।
হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে কথা বলার সময়, শুটিংয়ের স্মৃতি ভাগ করেছেন। তাঁর মতে. মাধুরী-করিশ্মা দুইজনেই খুব ভাল অভিনেত্রীর পাশাপাশি ডান্সার। এর আগে তিনি কখনও অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কোরিওগ্রাফি করাননি। কিন্তু দুইজনের কেউ কোনও বায়নাক্কা বা ‘নাটক’ করেননি। যার ফলেই কাজটা শিয়ামকের কাছে সহজ হয়েছে।
শাহরুখ সম্পর্কে বলতে গিয়ে শিয়ামক মনে করেছেন সিনেমাতে সারাক্ষণ তাঁর ডান্সারদের সঙ্গে ফুটবল খেলতেন। আর বৃষ্টির মধ্যে ‘চাক দুম দুম’ গানের সঙ্গে ডান্স করেছেন। অত বড় মাপের অভিনেতা হয়েও কিন্তু নম্র আর খাঁটি মানুষ। তবে শিয়ামক আজও ভীষণভাবে মিস করেন পরিচালক যশ চোপড়াকে। কারণ পরিচালকের পাশ্চাত্য নৃত্য সম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল না। তা সত্ত্বেও তিনি শিয়ামকের উপর অগাধ ভরসা করেন।