খোলা গা, গা ছুঁয়ে রয়েছে চকোলেট, স্বল্প পোশাকে মাখামাখি চকোলেট– এমনই ছবির সিরিজ পোস্ট করে রীতিমতো চর্চায় ইনি। চিনতে পারছেন কে? না, ইনি কোনও অভিনেত্রী নন। তবে সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন বলাই যেতে পারে তাঁকে। তাঁর দিদিকে আপনি চেনেন। শুধু চেনেনই না, তাঁর দিদির ফ্যাশন সেন্স নিয়ে রীতিমতো আলোচনা হয় নিত্যদিন। কখনও বন্দুক এঁকে, কখনও সেলোটেপ বা সেফটিপিনের পোশাক পরে চলে আসেন তিনি। আন্দাজ করতে পারছেন কে? হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন ছবিটি উরফি জাভেদের নিজের বোন উরুশা জাভেদের। উরফির মতো সেও কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষণ সক্রিয়। সাজ নিয়ে প্রতিদিন করতে থাকেন নিত্যনতুন পরীক্ষানিরীক্ষা। সমালোচনার সম্মুখী হতে হয়। কিন্তু উরফির মতোই ট্রোলকে একেবারেই পাত্তা দিতে নারাজ উরুশা। নিজের শর্তেই চলেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যাও এক লক্ষের উপর। মাঝেমধ্যেই তাঁকে দেখা যায়, উরফির সঙ্গে। দুই বোনের সম্পর্কও বেশ ভাল।
উরফি অথবা উরুশা– স্টারকিড নন তাঁরা। এক রক্ষণশীল পরিবারে জন্ম তাঁদের। ছোটবেলা থেকেই গ্ল্যামার দুনিয়া টানত জাভেদ বোনেদের। চেনা গণ্ডি পেরিয়ে এই মুহূর্তে তাঁদের আস্তানা মায়ানগরী মুম্বই। গ্ল্যামার আর পেজ থ্রির পার্টিতেই নিমজ্জিত তাঁদের মন। কিছু দিন আগেই নিজের অদ্ভুত পোশাক নিয়ে এক টুইট করেছিলেন উরফি। লিখেছিলেন, “আমি ক্ষমা চাইছি মানুষের মননে আঘাত করার জন্য। আমি যা পরি সেই জন্যও ক্ষমা চাইছি। এবার থেকে এক বদলে যাওয়া উরফিকে দেখতে পারবেন আপনারা। পোশাক অন্যরকম পরব। মাফি (ক্ষমা)।” চমকে উঠেছিলেন সকলেই। তাঁর হলটা কী? পরে যদিও জানা যায়, এ সবই আদপে পাব্লিসিটি স্টান্ট।