আজ বৃহস্পতিবার ঘোর অমাবস্যা। কালীপুজো। শ্যামা মায়ের আরাধনা। আর এই উৎসবে দর্শকের জন্য নতুন উপহার এনেছে দোহার। তাদের নতুন গান ‘একবার নাচো মা’। কথা এবং সুর শ্যামাপদ ভট্টাচার্যের। আদতে এটি শ্যামাসঙ্গীত। সদ্য মুক্তি পেয়েছে এই নতুন গান।
দোহারের নিজস্ব প্রোডাকশনে তৈরি এই গান মুক্তি পেয়েছে দোহারের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে। ইতিমধ্যেই এ গান পছন্দ করেছেন দর্শক। দোহারের মূল সুর যেন বাঁধা রয়েছে মাটির গানে। শ্যামাসঙ্গীতের ক্ষেত্রেও দোহারের সদস্যদের উপস্থাপনা অনন্য। শ্যামাপুজোর এর থেকে ভাল উপহার আর কী বা হতে পারে?
২২ বছর আগের ৭ অগস্ট। কলেজ স্ট্রিটে স্টুডেন্টস হল। গোলদিঘির পাশেই। প্রথম অনুষ্ঠান করলেন একঝাঁক শিল্পী। এখন হেরিটেজ হল হিসেবে বন্ধ রাখা হয়েছে সেই হল। ১৫০-২০০ জন দর্শকের সামনে অনুষ্ঠান করার মূল উদ্দেশ্য ছিল শিল্পী অনন্ত ভট্টাচার্যের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। সে বছরই তিনি প্রয়াত হন। সম্পর্কে তিনি ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের কাকা। সেই শুরু। সেই পথ চলা আজও একই রকম গৌরবময়। সেই পথ চলার নাম ‘দোহার’। প্রথম দিনের স্মৃতিচারণায় দোহারের অন্যতম সদস্য রাজীব দাস TV9 বাংলাকে আগেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “সে সময় আমি এবং কালিকাদা দুজনেই আসাম থেকে কলকাতায় পড়াশোনা করতে এসেছিলাম। কলকাতায় এসে আমার কালিকাদার সঙ্গে পরিচয়। কালিকাদার ইচ্ছে ছিল কাকার যে বিপুল লোক গানের সম্ভার তা কলকাতার মানুষকে শোনাবেন। ওর বিশ্বাস ছিল, কলকাতার দর্শক সেই গানের সমাদর করবেন। কারণ সারা পৃথিবীর বাংলা গানের মক্কা কলকাতা। সে জন্য শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য অনুষ্ঠান করেছিলাম। দল তৈরি করার কোনও ভাবনা সে সময় ছিল না। তখন কালিকাদা মূলত তবলা বাজাত। আমি গান গাইতাম। সেই বন্ডিং তৈরি হয়ে গিয়েছিল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অভীক মজুমদার আমাদের নাম দেন ‘দোহার’। আমাদেরও নামটা পছন্দ হয়ে যায়। সকলের ভাল লাগল সে অনুষ্ঠান। আরও কাজ করতে বললেন। আমরাও চেষ্টা শুরু করলাম।”
‘দোহার’ নাম কেন? রাজীব সেই সাক্ষাৎকারে ব্যখ্যা করেছিলেলেন, “লোক সঙ্গীতে মূল গায়েন থাকেন। বাকিরা কোরাস করেন। পদাবলী কীর্তনেও তাই হয়। গাজনেও তাই। আমরা সেই বাকিরা। সেই হিসেবে ‘দোহার’। কারণ আমার লোকগান সংগ্রহ করি। মূল গায়েন তাঁরাই।” ২০১৭-এ কালিকাপ্রসাদের প্রয়াণ ‘দোহার’কে যেন স্তব্ধ করে দিয়েছিল। অসংখ্য অনুরাগীর পাশাপাশি ‘দোহার’ পরিবারও ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু কালিকাপ্রসাদকে সামনে রেখেই ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে ‘দোহার’। রাজীব বলেছিলেন, “২০১৭-র সেই দিন থেকেই কালিকাদাকে সামনে রেখেই আজ পর্যন্ত কাজ করছি। যতদিন ‘দোহার’ থাকবে, কালিকাপ্রসাদও ‘দোহার’ হিসেবে আর সবার মধ্যে থাকবে।”
আরও পড়ুন, Rukmini Maitra: বেড়াতে গিয়ে সেরা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলেন রুক্মিণী মৈত্র
আজ বৃহস্পতিবার ঘোর অমাবস্যা। কালীপুজো। শ্যামা মায়ের আরাধনা। আর এই উৎসবে দর্শকের জন্য নতুন উপহার এনেছে দোহার। তাদের নতুন গান ‘একবার নাচো মা’। কথা এবং সুর শ্যামাপদ ভট্টাচার্যের। আদতে এটি শ্যামাসঙ্গীত। সদ্য মুক্তি পেয়েছে এই নতুন গান।
দোহারের নিজস্ব প্রোডাকশনে তৈরি এই গান মুক্তি পেয়েছে দোহারের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে। ইতিমধ্যেই এ গান পছন্দ করেছেন দর্শক। দোহারের মূল সুর যেন বাঁধা রয়েছে মাটির গানে। শ্যামাসঙ্গীতের ক্ষেত্রেও দোহারের সদস্যদের উপস্থাপনা অনন্য। শ্যামাপুজোর এর থেকে ভাল উপহার আর কী বা হতে পারে?
২২ বছর আগের ৭ অগস্ট। কলেজ স্ট্রিটে স্টুডেন্টস হল। গোলদিঘির পাশেই। প্রথম অনুষ্ঠান করলেন একঝাঁক শিল্পী। এখন হেরিটেজ হল হিসেবে বন্ধ রাখা হয়েছে সেই হল। ১৫০-২০০ জন দর্শকের সামনে অনুষ্ঠান করার মূল উদ্দেশ্য ছিল শিল্পী অনন্ত ভট্টাচার্যের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। সে বছরই তিনি প্রয়াত হন। সম্পর্কে তিনি ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের কাকা। সেই শুরু। সেই পথ চলা আজও একই রকম গৌরবময়। সেই পথ চলার নাম ‘দোহার’। প্রথম দিনের স্মৃতিচারণায় দোহারের অন্যতম সদস্য রাজীব দাস TV9 বাংলাকে আগেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “সে সময় আমি এবং কালিকাদা দুজনেই আসাম থেকে কলকাতায় পড়াশোনা করতে এসেছিলাম। কলকাতায় এসে আমার কালিকাদার সঙ্গে পরিচয়। কালিকাদার ইচ্ছে ছিল কাকার যে বিপুল লোক গানের সম্ভার তা কলকাতার মানুষকে শোনাবেন। ওর বিশ্বাস ছিল, কলকাতার দর্শক সেই গানের সমাদর করবেন। কারণ সারা পৃথিবীর বাংলা গানের মক্কা কলকাতা। সে জন্য শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য অনুষ্ঠান করেছিলাম। দল তৈরি করার কোনও ভাবনা সে সময় ছিল না। তখন কালিকাদা মূলত তবলা বাজাত। আমি গান গাইতাম। সেই বন্ডিং তৈরি হয়ে গিয়েছিল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অভীক মজুমদার আমাদের নাম দেন ‘দোহার’। আমাদেরও নামটা পছন্দ হয়ে যায়। সকলের ভাল লাগল সে অনুষ্ঠান। আরও কাজ করতে বললেন। আমরাও চেষ্টা শুরু করলাম।”
‘দোহার’ নাম কেন? রাজীব সেই সাক্ষাৎকারে ব্যখ্যা করেছিলেলেন, “লোক সঙ্গীতে মূল গায়েন থাকেন। বাকিরা কোরাস করেন। পদাবলী কীর্তনেও তাই হয়। গাজনেও তাই। আমরা সেই বাকিরা। সেই হিসেবে ‘দোহার’। কারণ আমার লোকগান সংগ্রহ করি। মূল গায়েন তাঁরাই।” ২০১৭-এ কালিকাপ্রসাদের প্রয়াণ ‘দোহার’কে যেন স্তব্ধ করে দিয়েছিল। অসংখ্য অনুরাগীর পাশাপাশি ‘দোহার’ পরিবারও ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু কালিকাপ্রসাদকে সামনে রেখেই ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে ‘দোহার’। রাজীব বলেছিলেন, “২০১৭-র সেই দিন থেকেই কালিকাদাকে সামনে রেখেই আজ পর্যন্ত কাজ করছি। যতদিন ‘দোহার’ থাকবে, কালিকাপ্রসাদও ‘দোহার’ হিসেবে আর সবার মধ্যে থাকবে।”
আরও পড়ুন, Rukmini Maitra: বেড়াতে গিয়ে সেরা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলেন রুক্মিণী মৈত্র