কথায় বলে যার শেষ ভাল তাঁর নাকি সব ভাল। অস্কার ২০২৩-এ ভারতের অভিজ্ঞতা মোটের উপরে ভাল হলেও দু-তিনটে ঘটনা যেন কাদা ছিটিয়ে দিল সাফল্যের উপর। এই যেমন দীপিকা পাড়ুকোনকে ব্রাজিলিয়ান মডেল হিসেবে ভুল করা, একই সঙ্গে ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’-এর প্রযোজক গুণিত মঙ্গার ‘উইনিং স্পিচ’কে থামিয়ে দেওয়ার মত ঘটনা প্রশ্ন তুলে দিল নানা বিতর্কের। শুধু কি তাই? অস্কারজয়ী সঙ্গীতকার কীড়াবানী জানিয়েছেন, ওই ঘটনার প্রভাব গুণিতের উপর এতটাই তীব্র হয়ে ওঠে যে তাঁকে নাকি হাসপাতালে পর্যন্ত ভর্তি করতে হয়, তীব্র শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল তাঁর। অস্কারের নিয়ম অনুযায়ী বিজয়ীরা মঞ্চে উঠে ৪৫ সেকেন্ড করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন অথবা অনুভূতি শেয়ারের সুযোগ পান। পুরস্কার জিতে ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’-এর পরিচালক কার্তিকী গঞ্জালভিজ ৪৩ সেকেন্ডের একটি বিজয়ভাষণ দেন। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন প্রযোজক গুণিত মঙ্গা। কার্তিকী বলা শেষ করার পর মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে গুণিত কিছু বলতে যাবেন, কিন্তু সেই মুহূর্তে ঘটে যায় এক চরম লজ্জাজনক ঘটনা। পিছনে বাজতে শুরু করে অর্কেস্ট্রা। গুণিত কিছু না বলেই ফিরে আসেন। বন্ধ করে দেওয়া হয় তাঁর মাইকের ভলিউম।
কীড়াবানীর কথায়, “ওঁকে বলতে দেওয়া হয়নি। আচমকাই ওঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। দম আটকে আসে, ওঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়।” তাঁর যে খারাপ লেগেছিল সে কথা জানিয়েছিলেন গুণীতও। তিনি বলেন, “আমার ভীষণ খারাপ লেগেছে।” তিনি জানান, একটি ভারতীয় প্রযোজনা সংস্থা হিসেবে এটিই যে প্রথম অস্কার এটি তিনি তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হল না। তাঁর কথায়, “দেশের হয়ে বলার ওই মুহূর্তটা আমার থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হল।” তবে দেশে ফিরতেই একরাশ ভালবাসা পেয়েছেন গুণিত। যা কোথাও গিয়ে অস্কারের ওই অপমান কিছুটা হলেও ভুলিয়ে দিয়েছে তাঁকে। প্রযোজক গুনিত ও পরিচালিক কার্তিকি দু’জনেই মহিলা। দুই মহিলার অস্কার জয়ে প্রথম থেকেই ভারত জানিয়েছিল কুর্নিশ। গুণিত নিজেও লিখেছিলেন, “ভারতীয় প্রযোজক হিসেবে এই প্রথম কেউ অস্কার পেল। দুজন নারীর জয় এটা। এখনও কাঁপছি।”