সত্যি কিছু স্টার, কিছু প্রযোজনা সংস্থা আজও বাঁচিয়ে রেখেছে সিঙ্গল স্ক্রিনের ব্যবসা। গত কয়েকবছরে যখন একের পর এক সিঙ্গল স্ক্রিন বন্ধ হওয়ার খবর সামনে আসছে, তখনও পাঠান, ‘জওয়ান’-এর মতো ছবি বেশ কিছু সিঙ্গল স্ক্রিন মালিকদের পুনরায় স্বপ্ন দেখার সাহস যোগাচ্ছে। এবার এমনই এক ছবি ধরা পড়ল হাওড়ার ডোমজুড় বাণীশ্রী সিনেমাহলে। এই নাম বেশ পরিচিত। হাওড়ায় এই প্রেক্ষাগৃহ এক সময় বেশ জনপ্রিয় ছিল। আজও গ্রামের মানুষেরা এখানে ছবি দেখতে ছুটে আসেন। তবে হাউসফুল বোর্ডের দর্শন সব সময় হয় না। TV9 বাংলার প্রতিনিধি প্রীতম দে এবার ‘জওয়ান’ মুক্তির দিন সকালে এখানে গিয়ে যে ছবি দেখলেন তা এক অন্য কথা বলে।
শাহরুখ খান কিংবা যে কোনও সুপারস্টার মানেই যে কেবল আবেগ নয়, পাশাপাশি বহু মানুষের কর্মসংস্থানের আশা, তা আরও একবার প্রমাণিত হল। ‘পাঠান’ ছবির সময় এমনই ভিড় দেখেছিল বাণীশ্রী। রবিবারের সন্ধ্যায় এমন ভিড় হয়েছিল নামাতে হয়েছিল বাউন্সার। যে প্রেক্ষাগৃহ দর্শকরে অপেক্ষায়, সেখানে দরজায় ‘জওয়ান’ মুক্তিতেও দাঁড়িয়ে চার বাউন্সার। দর্শকদের ভিড় এড়াতে, কোনও অপৃতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সকলের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে হল কতৃপক্ষ। পুলিশের ভরসায় নয়, নিজেদের খরচে এবার সুরক্ষার ব্যবস্থা নিলেন তারা।
এই সিনেমাহলে অতীতে মুক্তি পেয়েছে একাধিক বড় ছবি। শেষ চলছিল গদর ২। মুক্তি পেয়েছে জেলর ছবিও। তবে পাঠান ছবি যেভাবে দর্শক টানতে সক্ষম হয়েছিল, জওয়ান ছবিও একই পথে দর্শক টানে। আগে থেকেই যে হারে টিকিট বিক্রি হয়েছিল, তাতেই স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল যে ছবি এভাবেই বাজার ধরতে সক্ষম হবে বলেই এদিন দাবি করেন প্রেক্ষাগৃহের কতৃপক্ষ।