পুজো আসবে-আসবে, সেটাই ভাল। কিন্তু পুজো এলেই হুশ করে চলে যায় চোখের পলকে। অদ্ভুত বিষয়, তাই না! আগামীকাল থেকে ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবে শহরবাসী। আজ (২৪ অক্টোবর, ২০২৩) বিজয়া দশমী। বাবুঘাট এবং বাংলার বিভিন্ন ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন চলছে। মাকে শেষবেলায় বিদায় জানাচ্ছেন আমআদমি থেকে শুরু করে সেলেব্রিটিরাও। মাকে বিদায় জানানোর আগে চুটিয়ে সিঁদুর খেলেছেন পায়েল সরকার, প্রিয়াঙ্কা সরকার, সোহিনী সরকার, জুন মালিয়ারা। TV9 বাংলা কথা বলল তাঁদের সঙ্গে। জানল বিজয়ায় তাঁদের বিষাদ কতখানি।
পায়েল সরকার (গিয়েছিলেন রাজডাঙা নবদয়তে)
“আমি যে খুব সিঁদুর খেলি তা কিন্তু নয়। তবে রাজডাঙায় এসেছি, খুব ভাল লাগছে। মাকে বরণ করব। পুজোয় খুব আড্ডা দিয়েছি। খুব সুন্দর পুজো কেটেছে। আজকে যে এনার্জি নিলাম, সেটা ভেবেই যাব যে পরেরবারের পুজোয় যাতে আনন্দ করতে পারি।“
প্রিয়াঙ্কা সরকার (পুত্র সহজকে নিয়ে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা সরকার। বালিগঞ্জ কালচারে গিয়েছিলেন তিনি।)
“আমার কাছে পুজোতে ধুনুচি নাচ এবং সিঁদুর খেলা হল অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা ছাড়া আমি পুজো চিন্তাই করতে পারি না। মাকে সিঁদুর মাখিয়েছি, মিষ্টি মুখ করিয়েছি। তারপর মনে হয়েছে যে পুজো কাটালাম।”
সোহিনী সরকার (গিয়েছিলেন রাজডাঙা নবদয়তে)
“দারুণ ভাল পুজো কাটিয়েছি এবার। পাথুরিয়াঘাটার রাজবাড়িতে গিয়েছিলাম আমি। বাড়িতে মটন রান্না হয়েছে। গিয়েই খাব। মটন খেয়ে আসতে পারিনি। আমার কিন্তু দশমীতে মন খারাপ হয় না। আগে হত, কারণ পড়তে বসতে হত পরদিন থেকেই। এখন জানি দশমী মানেই আবার একটা পুজোর প্ল্য়ানিং শুরু হওয়া।”
জুন মালিয়া (গিয়েছিলেন রাজডাঙা নবদয়তে)
“দক্ষিণ কলকাতার পুজোগুলি আমার ভীষণ প্রিয়। এবারের পুজো দারুণ উপভোগ করেছি আমি। প্রচুর মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি, আড্ডা দিয়েছি। সব মিলিয়ে আমার পুজো এক্কেবারে জমজমাট কেটেছে।”