Indian’s First Intimacy Co-ordinatior Aastha Khanna: চুম্বন থেকে বেড সিন কীভাবে শুটিং হয়, জানালেন ভারতের প্রথম অন্তরঙ্গ দৃশ্যের পরিচালক আস্থা খান্না
আস্থায় আস্থা রাখেন তারকারা। ছবির স্বার্থে অনেক সময়ই অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করতে হয় অভিনেতাদের। অভিনেতারা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। তাঁদের যাতে বেশি অপ্রস্তুতে না পড়তে হয়, তাই বিশেষ পরিচালকও থাকেন উপস্থিত।
ভারতীয় ছবি অনেকটাই সাবালক হয়েছে। বিগত কয়েক বছর আগেও ফুল নড়া, দুধ উতলে যাওয়ার মতো সিনগুলোকে যেভাবে অন্তরঙ্গতার রূপক হিসেবে ব্যবহার করা হত, তা থেকে অনেকটাই বেরিয়ে এসেছে ভারতীয় ছবি। একটু অন্য ধরনের বাণিজ্যিক ছবি যদিও আগেই সাবালকের তাকমা পেয়ে গিয়েছে, তবুও পরিবারের সঙ্গে বসে দেখার ছবিগুলোতেও এসেছে ফারাক। খোলাখুলি চুম্বন দৃশ্য কিংবা চূড়ান্ত অন্তরঙ্গতাও এখন ভারতীয় ছবির সঙ্গী বলা চলে। সাম্প্রতিক উদাহরণ ‘গেহরাইয়াঁ’ ছবির ট্রেলার ও গানের কিছু ঝলক। আরও ভূরি ভূরি উদাহরণ আছে। আপনি কি জানেন, মারপিটের সিন, নাচের সিনের মতো নায়ক-নায়িকার অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শুটিংয়ের জন্যেও বিশেষ একজন পরিচালকের প্রয়োজন হয় আজকাল। যিনি এই সিনগুলি সহজভাবে শুটিং করতে সাহায্য করেন। সেরকমই এক অন্তরঙ্গ দৃশ্যের পরিচালকের সঙ্গে আলাপ করাবো আপনাদের। তিনি আস্থা খান্না। দীপিকা পাড়ুকোন থেকে শুরু করে আরও অনেক তারকাই তাঁর উপর আস্থা রাখেন ইদানিং।
কী করেন আস্থা? তাঁর কাজ অভিনেতাদের জড়তা কাটানো। যাতে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে তাঁদের পারফর্ম করতে সুবিধা না হয়। তাঁদের ভাল-মন্দের বিষয়ের দিকেও নজর রাখেন আস্থা। অনেকেই বেশি অন্তরঙ্গতা পছন্দ করেন না। অনেকের স্ক্রিনে অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতায় আপত্তি থাকে। আস্থা সেসব দিকই সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করেন।
স্কুপয়ুপকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আস্থা বলেছেন, “অভিনেতারা কতদূর কী করতে চাইছেন সেটা আগে থেকেই আলোচনা করে নিই আমি। তাঁদের শরীরের কোন অংশ অন্তরঙ্গতায় দেখানো যাবে জেনে নিই তাঁদের থেকেই। তাঁদের সঙ্গে রিহার্সাল করি, ওয়ার্কশপ করি। তারপর কোরিওগ্রাফ করি সম্পূর্ণ বিষয়টা।”
এর জন্য পরিচালকদের সঙ্গে আগেই আলোচনা সেরে রাখেন আস্থা। জেনে নেন পরিচালক কী চাইছেন। তিনি বলেছেন, “প্রত্যেক পরিচালকেরই সাম্যক ধারণা থাকে তিনি আসলে কী চাইছেন। কোরিওগ্রাফি নিয়ে তাঁদের অনেক চিন্তাভাবনা থাকে। আমাকে জানিয়ে দেন কী ধরনের মুড চাইছেন। সঙ্গে আমরা এটাও আলোচনা করে নিই পর্দায় কী প্রভাব পড়তে পারে।”
অনেক কুশলীর উপস্থিতিতেই অভিনেতাদের সিনগুলি শুট করতে হয়। অনেক অভিনেতারই সমস্যা হয় সে সময়। আস্থা জানিয়েছেন, সেটে ৩-৪জনের চেয়ে বেশি কেউই উপস্থিত থাকেন না। অনেক সময় ৭-৮জনও থাকেন। কিন্তু বিষয়টি খুব একটা পছন্দ করেন না আস্থা। তিনি এও জানিয়েছেন, একেকটি অন্তরঙ্গ দৃশ্য একাধিকবার রিহার্সাল করানো হয়। তিনি মনে করেন, রিহার্সাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এতে সহজেই জড়তা কেটে যায়।
আরও পড়ুন: Karan Johar-Kunal Kapoor: করণের ‘কেথ্রিজি ২’তে নতুন ‘পু’ কুণাল কাপুর!