CID অভিনেত্রী চন্দ্রিকা সাহা। যাঁর সঙ্গে পর্দায় দর্শকদের নিত্য পরিচয়। মাঝে মধ্যেই তাঁকে দর্শকদের সতর্কবার্তা দিতে দেখা যায়। তাঁর কিন্তু তাঁরই পরিবার এবার এ কী কাণ্ড? নিজের চোখকেই যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না কেউ। বার্তা দেন, প্রতিটি পরিবার যাতে অপরাধ মুক্ত থাকে, অভিভাবকেরা যাতে সন্তানদের যথাযত যত্ন নিয়ে থাকেন, সেই সেলেবই এবার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি। অপরাধ বাসা বেঁধেছিল তাঁরই পরিবারে। মাত্র ১৫ মাসের একটি পুত্র রয়েছে তাঁর। বাড়িতেই ছিলেন অভিনেত্রী। এমন সময় ছেলেকে নিয়ে বাথরুমে যান তাঁর স্বামী অমন মিশ্রা। এরপর হঠাৎই তিনি একটা জোরে শব্দ শুনতে পান। ছুটে গিয়ে তিনি দেখেন তাঁর সন্তান মাটিতে আহত অবস্থায় পড়ে আছে। চিৎকার করে কাঁদতে থাকা শিশুকে কোলে তুলে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন অভিনেত্রী।
প্রাথমিক চিকিৎসার পর খানিক স্বস্তি ফেরে। ভয়ের কোনও কারণ আপাতত নেই বলে ডাক্তার জানান। এরপরই বাড়ি ফিরে সন্দেহ হয় অভিনেত্রীর। তিনি সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে বসেন। আর তা দেখেই চমকে যান তিনি। এক বার নয়, পর পর তিনবার তাঁর স্বামী সন্তানটিকে আছড়ে ফেললেন মাটিতে। দেখা মাত্রই চমকে যান তিনি। দ্রুত ছুটে যান পুলিশের কাছে। ৫ মে এই ঘটনা ঘটে। এরপরই তিনি মুম্বইয়ের বাঙ্গুর নগর পুলিশস্টেশনে নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধি ৭৫ (শিশু সুরক্ষা আইন) ধারা রজু করা হয়।
এই মর্মান্তিক ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ে পলকে। এরপরই অভিনেত্রী শেয়ার করেন তাঁর পুরোনো অভিজ্ঞতা। যখন তিনি অন্তঃসত্তবা ছিলেন, তখনই তাঁর স্বামী তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ভ্রুন হত্যার। যা মেনে নিতে পারেননি, স্বামীর বিরুদ্ধে গিয়েই সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। তাই বলে এই পরিণতি কোনওদিন হতে পারে ভাবতেও পারেননি তিনি। স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে যদিও অতীতে কখনই মুখ খুলতে দেখা যায়নি তাঁকে।