৭৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে ঘটে গেল বিরলতম ঘটনা। সম্প্রতি কানের লাল গালিচায় (পড়ুন রেড কার্পেট) পরিচালক কেলভিন রেডভার্সকে ঢুকতেই দেওয়া হল না। না তিনি কিছুই করেননি। কোনও অসভ্যতা না, কিচ্ছু না। কেবল পায়ে গলিয়েছিলেন একটি ঐতিহ্যবাহী মোকাসিন জুতো। এবং সেটাই তাঁর অপরাধ। সেই কারণেই তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি কানের আন্তর্জাতিক উৎসবে। কেলভিন ডেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্য। বড় হয়েছেন কানাডায়। এই ঘটনার পর কানাডার সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউজ়কে তিনি বলেছেন, “আমি ১০০ শতাংশ জানতাম, যে আমি যা করেছি, তা কান অনুমোদন করে। আমি জানতাম মোকাসিন জুতোটি আমাদের সংস্কৃতিরই অংশ।”
কেবল ভাবুন, সিনেমা নয়। জুতোর কারণে আন্তর্জাতিক মঞ্চে জনুপ্রিয় হয়ে গেলেন এই পরিচালক। ঠিক যেমন অস্কারের মঞ্চে একটি চড় জনপ্রিয় করেছে কমেডিয়ান ক্রিস রককে!
দেশীয় পরিচালকদের সঙ্গে কানে অংশ নেবেন বলে ফ্রান্সের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন কেলভিন। ফরাসি-ইতালীয় অভিনেতা ভ্যালেরিয়া ব্রুনি তেদেসচির ছবি ‘লা অ্যামানডিয়ার্স’-এর প্রিমিয়ারে আমন্ত্রিত ছিলেন।
সেই প্রিমিয়ারেই কেলভিন পায়ে পরেছিলেন ঐতিহ্যবাহী মোকাসিন জোড়া। আর তাতেই বিপত্তি। তাঁকে রেড কার্পেটে ঢুকতেই দেওয়া হল না। তেমনটাই কেলভিন বলেছেন কানাডার সংবাদমাধ্যমকে। তাঁকে নাকি জুতো খুলতেও হয়েছে।
এই ঘটনার পর কি চুপ ছিল কান কর্তৃপক্ষ?
একেবারেই নয়। কেলভিন জানিয়েছেন, ঘটনার ঘণ্টাখানেক কেটে যাওয়ার পর নাকি ফেস্টিভ্যালের দায়িত্বশীলরা তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তাঁকে নাকি মোকাসিন জুতো পরেই ঢুকতে বলেছিলেন পরবর্তী স্ক্রিনিংয়ে।
পরবর্তীতে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন কেলভিন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “কঠিন সময় ছিল। অদ্ভুত অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। ঘটনার সময় আমি ঘোরের মধ্যে ছিলাম। বুঝতে পারছিলাম না ঠিক কী করব!”
কিন্তু কেলভিন আশাবাদী। তিনি মনে করেন, পরবর্তী সময় নিশ্চয়ই পরিস্থিতি পাল্টাবে। আর কাউকে এই ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হবে না।