চার বছরের পুরনো সম্পর্ক ভেঙে গেল হলিউড মেগাস্টার লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর। প্রেমিকা ক্যামিলা মোর্রোনের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করেছেন টানা চার বছর। ১৬ জুন ছিল ক্যামিলার ২৫ বছরের জন্মদিন এবং এক মাসের মধ্যেই তাঁর সঙ্গে প্রেমে ইতি টানেন লিওনার্দো। নির্দিষ্ট এই বিষয়টিতেই কেন আলোকপাত করা হচ্ছে? তার কারণ, প্রেমিকাদের ২৫ বছর পেরলেই বিচ্ছেদ ঘটে লিওনার্দোর জীবনে। একবার নয়, দু’বার নয়। প্রত্যেকবারই এটাই দস্তুর। এটাই ঘটে এসেছে। বিষয়টি ইচ্ছাকৃত না কাকতালীয়, সেটা অবশ্য জানেন একমাত্র লিওনার্দোই।
অতীত ঘাঁটলে দেখা যাবে, ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত লিওনার্দোর জীবনে এসেছিলেন ব্রেজ়িলীও ফ্যাশন মডেল গিসেল বুন্ডচেন। দেখা গিয়েছিল, সেই প্রেমিকার বয়স ২৫ বছর পেরতেই ব্রেকআপ হয়। ব্রেকআপের পরের বছর লিওনার্দো প্রেমে পড়েন ইজ়রাইলের মডেল বার রেফায়েলির। ২০১০ সাল পর্যন্ত টিকেছিল সেই সম্পর্ক। প্রেমিকার বয়স ২৫ হতেই ব্রেকআপ ঘটে।
এবার আসা যাক পরবর্তী প্রেমিকা ব্লেক লাইভলির প্রসঙ্গে। রেফায়েলির সঙ্গে ব্রেকআপের পর ব্লেকের প্রেমে পড়েন লিও। ২০১১ সালে প্রেম শুরু। একবছর সম্পর্ক টেকে। তারপর এরিন ইদারটন আসে জীবনে। ২০১২ সাল তাঁর সঙ্গেই সম্পর্কে ছিলেন। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে টোনি গার্নের সঙ্গে প্রেম করেন তিনি। ২০১৫ সালে লিওর জীবনে আসেন কেলি রোরবাচ। তার বয়স ছিল ২৫। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে নীনা আগদালের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন লিওনার্দো। উল্লেখ্য, প্রত্যেক প্রেমিকার বয়সই ২৫শের বেশি নয়।
২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৪৭ বছরের লিওনার্দো সম্পর্কে ছিলেন ক্যামিলার। যে সময় তাঁদের সম্পর্ক শুরু হয় ক্যামিলা বয়স ছিল ২১। লিও ছিলেন ৪৪ বয়সি। ২২ বছরের ব্যবধান ছিল প্রেমিকার সঙ্গে। এ ক্ষেত্রেও প্রেমিকার বয়স ২৫ হতে প্রেম ভাঙে তাঁদের। আর তারপর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে, প্রেমিকার বয়স ২৫ পেরলেই কি তাঁদের থেকে মন উঠে যায় টাইট্যানিকের জ্যাকের?
২০১৮ সালে সম্পর্কে থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে লিওর বয়সের ব্যবধান সম্পর্কে ক্যামিলা বলেছিলেন, “হলিউডের অনেকেই এই ধরনের সম্পর্ক রয়েছেন। অনেকের মধ্যেই এই ধরনের বয়সের ব্যবধান রয়েছে।”