৭৮ বছর পূর্ণ করলেন জাভেদ আখতার। শাবানা আজমির সঙ্গে বিবাহিত জীবনও কম বছরের নয়। তবে শাবানাকে বিয়ে করার আগে হানি ইরানির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন জাভেদ। তাঁর ও হানির দুই সন্তান, ফারহান আখতার ও জোয়া আখতারও বলিউডে বেশ পরিচিত। তবে এক সাক্ষাৎকারে জাভেদ একবার বলেছিলেন, ফারহান ও জোয়ার বাবা হিসেবে নিজেকে তিনি মনে করতে চান না। প্রচলিত অর্থে বাবার যে সংজ্ঞা হওয়া উচিত তার সঙ্গে তাঁর কোনও মিল নেই। নেপথ্যে অবশ্য ছিল জাভেদের নিজস্ব ব্যাখ্যাও। কী বলেছিলেন তিনি? জাভেদ বলেছিলেন, “গতানুগতিক ভাবে বাবার যা সংজ্ঞা হওয়া উচিৎ তা আমি কোনও কালেই ছিলাম না। এমনিতে বাবা ও ছেলের সম্পর্কে কথোপকথন খুবই কম হয়। কিন্তু আমার ছেলেমেয়েদের সঙ্গে আমার বেশ গণতান্ত্রিক সম্পর্ক ছিল। অর্থাৎ জীবনে হেন কিছু নেই যা তাঁরা আমার সঙ্গে আলোচনা করতে পারত না। মাঝেমধ্যে তর্কও লাগত আমাদের। আসলে গণতন্ত্র মানেই তো সেখানে তর্কাতর্কী হবেই। তিনি পগ করেন, “আমার প্রাক্তন স্ত্রী হানির সঙ্গে আমার সর্বদা এক সম্মানজনক সম্পর্ক ছিল। যত দিন গিয়েছে আমাদের বন্ধুত্বও আরও মজবুত হয়েছে। আর এখন ও আমার খুবই কাছের বন্ধু।
এমন একটা সময়ে জাভেদ আখতার বলিউডে পদার্পণ করেন যখন চিত্রনাট্যকারের ধারণা বলিউডে খুব একটা স্পষ্ট ছিল না। সেলিম খান প্রথম ‘হাথি মেরে সাথি’ ছবিতে জাভেদকে কাজের সুযোগ দেন। এর পর বহু ছবির একসঙ্গে চিত্রনাট্য লিখেছেন তাঁরা। যদিও পরবর্তীতে আলাদা হয়ে যান। তবে কাজ থেমে থাকেনি। তাঁর লেখনির মাধ্যমে সমৃদ্ধ হয়েছে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি।