উত্তর এবং মধ্য গাজ়ার পরে এ বার ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী প্যালেস্টাইনি ভূখণ্ডের দক্ষিণ অংশে সর্বাত্মক হামাস বিরোধী অভিযান শুরু করার বার্তা দিয়েছে ইজারায়েলি সেনা। চারিদিকে ধ্বংসের পাহাড়। শিশুর কান্নায় চতুর্দিক দিশেহারা। বিশ্বের প্রতিটি দেশই এ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে নানা মন্তব্য রেখেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রের তারকারাও তাঁদের মতামত রেখেছেন। গাজার যুদ্ধের ক্ষত বাংলাদেশি অভিনেত্রী জয়া আহসানের বুকে। এত আলো, এত রোশনাই, এত আনন্দ… সবই যেন ফিকে হয়ে আসছে ওই সব হারা মানুষদের চিৎকারের কাছে। বাঁচার ইচ্ছের কাছে। সামাজিক মাধ্যমে এই নিয়েই সরব হলেন জয়া।
ধ্বংসলীলার ছবি শেয়ার করে জয়া লিখেছেন,
” ফিলিস্তিনের (প্যালেস্তাইনের) ছবি দেখছি অন লাইনে,খবরের কাগজে, টেলিভিশনের পর্দায়। বোমা ফেলা হচ্ছে নিরীহ মানুষজনের ওপর। আক্রমণ চলছে হাসপাতালেও। একটি ছবিতে দেখেছিলাম পরিবারের সবাই মারা পড়েছেন, আর সবার লাশের সামনে বসে আছেন বেঁচে যাওয়া একজন মাত্র মানুষ।
এ পর্যন্ত ১১ হাজার হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। এর মধ্যে শিশু মারা গেছে ৪ হাজারের বেশি।
এসব দেখেশুনে মনটা ভেঙে যায়। আবার মনটাকে সরিয়ে কাজে নেমে পড়ি। নতুন মুক্তি পাওয়া ছবির প্রচারে যাচ্ছি, যোগ দিচ্ছি পুরস্কারের অনুষ্ঠানে, গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর জন্য মনে অপরাধ–অপরাধও লাগে। আমার বা আমাদের জীবন তো চলছে, কিন্তু ওদের জীবন তো প্রতিটা মুহূর্তে মৃত্যুর মুখোমুখি।
তাদের অসহায়তা দেখে গলাটা বুজে আসে।
এই হত্যাকাণ্ড থামুক। শিশুরা খেলা করুক রোদেলা মাঠে, খেজুর গাছের নিচে। নিজের দেশে দেশছাড়া এই মানুষগুলো নিজেদের ঘরে ফিরুক। ওদের বাঁচানোর জন্য পৃথিবীর বড় বড় মানুষেরা কি এক হতে পারেন না? এটা কি খুব বড় প্রত্যাশা?”
জয়ার এই পোস্টে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত। কেউ বলছেন, ‘এক পাক্ষিক কথা বলছেন জয়া’। আবার কারও মতে এ পাল্টা হামলা। যদিও দলমত নির্বিশেষে সবার একটাই চাওয়া, ‘এই যুদ্ধ থামুক। আবারও শান্ত হোক পৃথিবী। নেমে আসুক আনন্দ। বাঁচুক সবাই আনন্দে।