
জয়া বচ্চন মানেই মেজাজ সপ্তমে তাঁর। অন্তত তাঁকে নিয়ে পাপারাৎজির ধারণা এমনটাই। হবে নাই বা কেন? ছবি তোলার অনুরোধ করতেই রে-রে করে হামেশাই তেড়ে আসতে দেখা যায় তাঁকে। শুধু কি তাই? নানা সময়ে নানা ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করে চর্চায় থাকেন তিনি। মেয়ে শ্বেতা বচ্চন ও ছেলে অভিষেক বচ্চনকেও এই নিয়ে বিভিন্ন সময়ে পড়তে হয়েছে বিড়ম্বনার মুখে। হেমা মালিনীর জন্মদিনে আমন্ত্রিত জয়া ‘অভ্যেস’ ভেঙে নিজের অন্য রূপ দেখাতে গিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তা আর হল কই? ফের একবার পাপারাৎজির উদ্দেশে প্রকাশ পেল তাঁর নজিরবিহীন ‘দাম্ভিক’ রূপ, যা দেখে অসন্তুষ্ট সকলেই। কী ঘটেছে?
সোমবার রাতে হেমা মালিনীর জন্মদিন উপলক্ষে হাজির হয়েছিলেন জয়া বচ্চন। পদ্মিনী কোহলাপুরির সঙ্গে একগাল হেসে ফটো তুলতেও আসেন তিনি। হেসে হেসেই ফটো তুলছিলেন, কিন্তু হঠাৎ করেই করে ফেললেন এক অনভিপ্রেত মন্তব্য। পাপারাৎজি সংস্কৃতি অনুযায়ী, যারা ক্যামেরার নেপথ্যে থাকেন তাঁরা তারকাকে বলে দেন, ছবি তোলার সময় কোথায় তাকাতে হবে। মাঝেমধ্যেই ‘স্যর লেফট, ম্যাম রাইট’ বলে নিরদেশনা আসে তাঁদের তরফে। শাহরুখ খানই হন অথবা অমিতাভ বচ্চন– এই নির্দেশনা বিনা বাধায় মেনে নেন প্রায় সকলেই। কিন্তু না, জয়া মানলেন না। বরং পাপারাৎজির উদ্দেশে বলে উঠলেন, “নির্দেশনা আমাকে দেবেন না”। সেই ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তুলোধনা করেছেন নেটিজেনরা। একজন লেখেন, “ওঁর কী মনে হয় চাইলেই এভাবে ব্যবহার করা যায়? বুঝতে পারছি মিডিয়ার উপস্থিতিতে ওঁর অসুবিধে হচ্ছে, কিন্তু একটু ভাল করেও তো কথা বলা যায়।” আর একজন লেখেন, “কখনও হতাশ করেন না। জানি খারাপ কথা বলবে, এটা ভেবেই ওঁর ভিডিয়ো দেখে থাকি।” অতীতে জয়াকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি সাফ জানিয়েছিলেন, এই পাপারাৎজি সংস্কৃতি তাঁর পছন্দ নয়। কিন্তু তাই বলে হেন ব্যবহার। কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না সাধারণ।