
কত কী যে ঘটে ফিল্মি দুনিয়ার অন্দরে, সে হিসেব মেলে না সহজে। প্রতিদিনই শোনা যায় পরকীয়ার গুঞ্জন। সব যে সত্যি হয় তা নয়, কিন্তু সমালোচনা কিছু কম হয় না সেই গুঞ্জনকে ঘিরে। এই যেমন ১৯৭৯ সালে ঘটে যাওয়া এক ঘটনা নিয়ে ফিল্মি দুনিয়ার অন্দর মহলে আজও চলে নানা ফিসফাস। কী সেই ঘটনা জানেন? কাদের নিয়েই বা সেই ঘটনা? ঘটনার নায়িকা রেখা। যে মানুষটির জীবন জুড়েই বিতর্ক। ১৯৮১ সালে একটি তামিল ছবি মুক্তি পায়। সেই ছবির নাম ‘মিনডাম কোকিলা’। ছবিটিতে অভিনয় করার কথা ছিল কমল হাসান, শ্রীদেবী ও রেখার। সব ঠিক হয়ে যাওয়ার পরেও রাতারাতি সেই ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয় তাঁকে। জায়গা করে নেন দক্ষিণী অভিনেত্রী দীপা। কেন বাদ পড়েছিলেন রেখা তা নিয়ে বলিউড ও দক্ষিণী ছবির অন্দরে নানা ফিসফাস ঘুরে বেড়ায় আজও। তবে এক তামিল সাংবাদিকের কলমে একদা যে তথ্য উঠে এসেছিল এই বাদ পড়াকে কেন্দ্র করে তা রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিল গ্ল্যামার দুনিয়ায়।
ওই সাংবাদিক লিখেছিলেন, “তখন ১৯৭৯ সালের শেষ। চেন্নাইয়ের এক হোটেলে আমার কাজ ছিল। হঠাৎই হোটেলের রিসেপশনের মেয়েটি আমায় জানায় রেখার ঘরে রয়েছেন কমল হাসান। কমলের তৎকালীন স্ত্রী বানী গণপতিও খবর পেয়ে হাজির হয়েছিলেন ওই হোটেলেই। এর পরেই কমল হাসানকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাঁর স্ত্রী। সকলের সামনেই অপদস্থ হতে হয় তাঁকে।”
এই ঘটনার সত্য কিনা তা নিয়ে আজ পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি রেখা অথবা কমল কিংবা তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী। তবে এ কথা সত্য সব ঠিক হয়ে যাওয়ার পরেও ছবিটি থেকে রাতারাতি বাদ পড়েন রেখা। শোনা যায়, কমলের স্ত্রীয়ের ওই অভিযোগের পরেই রেখাকে নাকি ছবিতে নিতে অস্বীকার করেন পরিচালক-প্রযোজক। ফলে নায়িকার কাজ হয় হাতছাড়া। জায়গা দখল করে নেন দীপা। রেখা মানেই বর্ণময় এক চরিত্র। তাঁর জীবনে বিভিন্ন সময়ে এসেছেন নানা পুরুষ। তবে যেভাবে তিনি নিজেকে মেলে ধরেছেন তা সত্যিই তুলনাহীন, তাঁর ভক্তরা অবশ্য মনে করেন এমনটাই।