প্রায় চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছিলেন। সম্প্রতি শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও শনিবার থেকে আচমকা অবনতি হতে আবার দিতে হয়ে ভেন্টিলেশনে। তবে শেষরক্ষা করা সম্ভব আর হল না। কোভিড-নিউমোনিয়ার জোড়া ধাক্কা আর সামলাতে পারলেন না আর তিনি। প্রয়াত সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। শোকের ছায়া দেশজুড়ে। বলিউডেও চলছে শোকপ্রকাশ। এরই মাঝে ফিরে দেখা।
ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১২-এর বিচারক হিসাবে এসেছিলেন যশ-পুত্র করণ জোহার। ওই মিউজিক রিয়েলিটি শো’তে এসেই লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিলেন করণ। ‘কভি খুশি কভি গম’ ছবিতে গান গেয়েছিলেন লতা। এই সিনেমার টাইটেল ট্র্যাক গেয়েছিলেন তিনি। সেই রেকর্ডিংয়ের কথাই স্মরণ করে করণ বলেছিলেন, “আমার এখনও মনে আছে যখন লতাজি ‘কভি খুশি কভি গম-এর টাইটেল ট্র্যাক গাইতে এসেছিলেন। গানটির চারটি সংস্করণ ছিল। একটি প্রধান এবং তিনটি থেকে চারটি দুঃখজনক সংস্করণ। আমাদের পরিকল্পনা ছিল যে লতাজি আসবেন এবং প্রধান সংস্করণটি গাইবেন। বাকি সংস্করণগুলো অন্য দিন রেকর্ড করা হবে।”
কিন্তু করণের পরিকল্পনা অনুযায়ী সেদিন কাজ হয়নি। করণ ওই রিয়েলিটি শো’তে জানান, “আমি আপনাকে বোঝাতে পারব না, লতাজি কীভাবে একদিনে সব গান গেয়েছিলেন, একটার পর একটা। এমনকি আজও যখন আপনি সেই দিনের কথা মনে করি, যখন আমি লতা মঙ্গেশকরজির সামনে বসে আছি এবং তিনি যতীন-ললিতের সঙ্গে রেওয়াজ করছেন, আমার লোম খাড়া হয়ে যায়। এবং তাঁরা যখন বললেন, দিদি আমরা অন্য ভার্শনগুলো কাল করব, তখন তিনি বললেন কেন, আমরা আজকেই গাইব।”
তারপর করণের কেমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল সেদিন? তিনি জানান, “আমি লতাজির সামনে থাকতে খুব ভয় পাচ্ছিলাম এবং নার্ভাস ছিলাম তাই আমি যশ চোপড়াকে পাঁচ মিনিটের জন্য আসার অনুরোধ করি। যশজি আমার সঙ্গে সারাদিন বসেছিলেন এবং তিনি চমকে গিয়েছলেন দেখে যে লতাজি একদিনে সব সংস্করণগুলো গেয়ে দিলেন। এবং তখন আমি বুঝতে পারি যে তিনিই হলেন সুরের মহারানি।”
আজ সেই সুরের মহারানি প্রয়াত হয়েছেন। শোকে ছায়া বলিউডে। আজও করণ তাঁকে স্মরণ করছেন, ‘লাগ জা গলে, কি ফির ইয়ে হাসিন রাত হো না হো…শায়াদ ফির ইস জনম মে মুলাকাত হো না হো’ গানের মধ্যে দিয়ে। করণ জোহার লিখেছেন, “আজ স্বর্গলোক প্রকৃত অর্থে এক সুরের পরীকে দেখল। শৈশবে লতাজির গান শুনে বড় হয়েছি, আজ ওঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি- আমি জানি ওনার “আওয়াজ হি পেহচান” (ওঁর আওয়াজই ওনার পরিচয়) এবং তিনি আগামী বহু প্রজন্মের জন্য আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতিতে একটি অবিস্মরণীয় ছাপ রেখে গেছেন।” করণ তাঁর তাঁর ইনস্টা পোস্টের মাধ্যমে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে গিয়ে লিখেছেন, এমন মধুর কণ্ঠে দেশকে গর্বিত কররা জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
আরও পড়ুন: হাতে থাকত এক অদৃশ্য বীণা, তিনি লতা মঙ্গেশকর, বাগদেবীর মানবী রূপ
প্রায় চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছিলেন। সম্প্রতি শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও শনিবার থেকে আচমকা অবনতি হতে আবার দিতে হয়ে ভেন্টিলেশনে। তবে শেষরক্ষা করা সম্ভব আর হল না। কোভিড-নিউমোনিয়ার জোড়া ধাক্কা আর সামলাতে পারলেন না আর তিনি। প্রয়াত সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। শোকের ছায়া দেশজুড়ে। বলিউডেও চলছে শোকপ্রকাশ। এরই মাঝে ফিরে দেখা।
ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১২-এর বিচারক হিসাবে এসেছিলেন যশ-পুত্র করণ জোহার। ওই মিউজিক রিয়েলিটি শো’তে এসেই লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিলেন করণ। ‘কভি খুশি কভি গম’ ছবিতে গান গেয়েছিলেন লতা। এই সিনেমার টাইটেল ট্র্যাক গেয়েছিলেন তিনি। সেই রেকর্ডিংয়ের কথাই স্মরণ করে করণ বলেছিলেন, “আমার এখনও মনে আছে যখন লতাজি ‘কভি খুশি কভি গম-এর টাইটেল ট্র্যাক গাইতে এসেছিলেন। গানটির চারটি সংস্করণ ছিল। একটি প্রধান এবং তিনটি থেকে চারটি দুঃখজনক সংস্করণ। আমাদের পরিকল্পনা ছিল যে লতাজি আসবেন এবং প্রধান সংস্করণটি গাইবেন। বাকি সংস্করণগুলো অন্য দিন রেকর্ড করা হবে।”
কিন্তু করণের পরিকল্পনা অনুযায়ী সেদিন কাজ হয়নি। করণ ওই রিয়েলিটি শো’তে জানান, “আমি আপনাকে বোঝাতে পারব না, লতাজি কীভাবে একদিনে সব গান গেয়েছিলেন, একটার পর একটা। এমনকি আজও যখন আপনি সেই দিনের কথা মনে করি, যখন আমি লতা মঙ্গেশকরজির সামনে বসে আছি এবং তিনি যতীন-ললিতের সঙ্গে রেওয়াজ করছেন, আমার লোম খাড়া হয়ে যায়। এবং তাঁরা যখন বললেন, দিদি আমরা অন্য ভার্শনগুলো কাল করব, তখন তিনি বললেন কেন, আমরা আজকেই গাইব।”
তারপর করণের কেমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল সেদিন? তিনি জানান, “আমি লতাজির সামনে থাকতে খুব ভয় পাচ্ছিলাম এবং নার্ভাস ছিলাম তাই আমি যশ চোপড়াকে পাঁচ মিনিটের জন্য আসার অনুরোধ করি। যশজি আমার সঙ্গে সারাদিন বসেছিলেন এবং তিনি চমকে গিয়েছলেন দেখে যে লতাজি একদিনে সব সংস্করণগুলো গেয়ে দিলেন। এবং তখন আমি বুঝতে পারি যে তিনিই হলেন সুরের মহারানি।”
আজ সেই সুরের মহারানি প্রয়াত হয়েছেন। শোকে ছায়া বলিউডে। আজও করণ তাঁকে স্মরণ করছেন, ‘লাগ জা গলে, কি ফির ইয়ে হাসিন রাত হো না হো…শায়াদ ফির ইস জনম মে মুলাকাত হো না হো’ গানের মধ্যে দিয়ে। করণ জোহার লিখেছেন, “আজ স্বর্গলোক প্রকৃত অর্থে এক সুরের পরীকে দেখল। শৈশবে লতাজির গান শুনে বড় হয়েছি, আজ ওঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি- আমি জানি ওনার “আওয়াজ হি পেহচান” (ওঁর আওয়াজই ওনার পরিচয়) এবং তিনি আগামী বহু প্রজন্মের জন্য আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতিতে একটি অবিস্মরণীয় ছাপ রেখে গেছেন।” করণ তাঁর তাঁর ইনস্টা পোস্টের মাধ্যমে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে গিয়ে লিখেছেন, এমন মধুর কণ্ঠে দেশকে গর্বিত কররা জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
আরও পড়ুন: হাতে থাকত এক অদৃশ্য বীণা, তিনি লতা মঙ্গেশকর, বাগদেবীর মানবী রূপ