সে অনেক দিন আগের কথা। রণবীর কাপুরের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন ক্যাটরিনা কাইফ। এদিকে নেটিজেনদের কাছে সে খবর নেই। কিন্তু ইবিজা ঘুরতে গিয়েই যত বিপত্তি। স্পেনের ওই প্রেমের বিচে দু’জনে দু’জনায় ছিলেন মগ্ন। কে যেন ছবি তুলে তা প্রকাশ করে দেয় এক প্রথম সারির ম্যাগাজিনে। রণবীরের খালি গা আর ক্যাটরিনার বিকিনি, বিচের ধার আর ঘনিষ্ঠ ছবি– এই সবকে জোড়া লাগাতে বেশি সময় নেয়নি জনসাধারণ। এক ম্যাগাজিনেই আটকে থাকেনি ওই ছবি। সালটা ছিল ২০১৩– সে সময় সোশ্যাল মিডিয়া এখনকার মত এতটা সক্রিয় না হলেও ভাইরাল শব্দটা তখনও ছিল বর্তমান। ফেসবুকে জুড়ে তাঁদের ইবিজা ভ্রমণের ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছিল। অন্য মিডিয়া হাউজগুলিও সেই ছবি দিয়ে প্রকাশ করছিল একের পর এক মুচমুচে সব খবর। মহা অস্বস্তিতে পড়েছিলেন ক্যাটরিনা। ওই সময় মিডিয়া হাউজগুলিকে এক গোপন চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি। ৯ বছর আগের সেই চিঠিই হঠাৎই ভাইরাল। কী লেখা ছিল সেই চিঠিতে?
ক্যাটরিনা লিখেছিলেন, “ভীষণ খারাপ লাগছে। এক ফিল্ম ম্যাগাজিনে আমার ঘুরতে যাওয়ার বেশ কিছু ব্যক্তিগত ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। অন্য মিডিয়া হাউজও তা প্রকাশ করছেন। যে এই কাজটি করেছে সে কাপুরুষ। অনুমতি ছাড়া ছবি তোলা কি উচিৎ? সাংবাদিকতার একটি প্রজাতি তারকাদের শিকার মনে করে। ব্যক্তিগত সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়। এই সব ছবি যারা ছড়াচ্ছেন তাঁরা ওই প্রজাতির অন্তর্গত।” এখানেই থামেননি তিনি। আরও লেখেন, “সমস্ত মিডিয়াকে অনুরোধ করছি এই সব ছবি শেয়ার থেকে বিরত থাকুন প্লিজ। আমার মিডিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক খুব ভাল। এই ধরনের ব্যবহার কি আমার সঙ্গে সত্যিই শোভা পায়”? পাশে দাঁড়ান তৎকালীন প্রেমিক রণবীর কাপুরও। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যদি তোমার মা ও বোনের এরকম ছবি বাজারে বিক্রি হয়, কেমন লাগবে?” ক্যাটরিনার এই অনুরোধকে সম্মান জানান সাংবাদিকরা। ছবি প্রকাশ করা বিরত রাখা হয়। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়ন্ত্রণ তো নেটিজেনদের হাতে। তাই তা আজও ঘুরে বেড়ায় ইতিউতি।
ক্যাটরিনার সঙ্গে রণবীরের সম্পর্ক ভেঙে যায় এর কিছুদিনের মধ্যেই। বর্তমানে দুজনেই দুজনের জীবন নিয়ে দারুণ খুশি। দুজনেই বিয়ে করেছেন। রণবীর বাবাও হয়েছেন। তবু বলিউডের ডার্ক গসিপের তালিকায় আজও এই নিয়ে চলে আলোচনা।