করোনাকালে থমকে থিয়েটার। বিকল্প পথ খুঁজছেন শিল্পীরা। আর এই করোনাকালেই আসতে চলেছে জাতীয় অন্তরঙ্গ নাট্যোৎসব। ‘বিভাবন’ নাট্যদলের থিয়েটার ফেস্টিভ্যালটির নাম ‘ব্রিজ বিটুইন আস ২০২১’। রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হল নাট্যোৎসবের পোস্টার।
এই সময় নাট্যশিল্পীদের জন্য মুক্ত বাতাস নিয়ে আসছে ‘বিভাবন’। নাট্যদলের অন্যতম সদস্য নাট্যব্যক্তিত্ব সুপ্রিয় সমাজদার TV9 বাংলাকে বলেছেন, “১৯৯৬ সালের ডিসেম্বর মাসে ‘বিভাবন’-এর জন্ম। ১৯৯৮ সাল থেকে আমরা নাট্যোৎসব করেছি। ২০০২ সাল থেকে শুরু অন্তরঙ্গ নাট্যোৎসব। এবার বিভাবনের ২৫ বছর পূর্তি।”
তিনি আরও বলেছেন, “বিভাবনের ২৫ বছর এবং নাট্যোৎসব, উৎযাপনকে দ্বিগুণ করতে এবার জাতীয় নাট্যোৎসব পালন করছি আমরা। আজ রবিবার আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টার প্রকাশ করব। অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে আমরা জানাতে পারব কোন কোন দল আমাদের উৎসবে অংশ নিতে পারবে।”
জাতীয় নাট্যোৎসবটির উদ্বোধন করতে কেরল থেকে আসবেন লোকধর্মী থিয়েটার গ্রুপের বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব চন্দ্রা দাসন। সুপ্রিয় মনে করেন, থিয়েটার মানুষের সঙ্গে মানুষের আরও নিবিড় সংযোগ স্থাপন করে। যে সমস্ত নাট্যদল ও বন্ধুদের তাঁরা পাশে পেয়েছেন তাঁদের ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
১৯৯৬ সালে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য বিভাগের কয়েকজন ছাত্র মিলে তৈরি করে ‘বিভাবন’। তখন থেকেই তাঁদের উদ্দেশ্য নিজেদের কথা নিজেরাই বলবেন। এই ২৫ বছরে ৪০টি নাটক প্রযোজনা করেছে ‘বিভাবন’। অন্তরঙ্গ বা ইন্টিমেট থিয়েটার নিয়ে তাঁদের চর্চা শুরুর দিন থেকে। ‘বিভাবন’ প্রথম নাট্যোৎসব করে ১৯৯৮ সালে। ওয়াই এম সি এ, পদাতিক, তৃপ্তি মিত্র নাট্যগৃহ, প্রসেনিয়াম আর্ট সেন্টার ও থিয়েপ্লেক্স আয়োজিত হয়েছে উৎসব। জাতীয় অন্তরঙ্গ নাট্যোৎসব অনুষ্ঠিত হবে ৯ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আয়োজিত হবে থিয়েপ্লেক্সে।
করোনা থাক আর নাই থাক, এভাবেই এগিয়ে চলুক থিয়েটার।
আরও পড়ুন: টি-সিরিজের মালিক ভূষণ কুমারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নাকি মিথ্যা; এফআইআর দায়ের আম্বোলি থানায়