সমীক্ষা বলছে যে ভারত আগামী বছরের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে চীনকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। এই জন্য ভারতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং সহ অনেক বিজেপি নেতা ভারতে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করার জন্য আইন প্রবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছেন। তবে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই সপ্তাহের শুরুতে বলেছিল যে এমন কোনও প্রস্তাব আনার কথা এখুনি ভাবা হচ্ছে না। এই বিষয়ে অভিনেতা-রাজনীতিবিদ রবি কিষাণ (Ravi Kishan) শুক্রবার জানিয়েছেন যে তিনি লোকসভায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি ব্যক্তিগত সদস্য বিল পেশ করতে চলেছেন। প্রস্তাবিত বিলের লক্ষ্য দম্পতিদের দুটির বেশি সন্তান জন্ম দেওয়া থেকে নিরুৎসাহিত করা।
রবি কিষাণ সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল আনা হলেই আমরা বিশ্ব গুরু হতে পারি। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ”। শুধু এখানেই থামেননি মুলতঃ ভোজপুরি অভিনেতা। তিনি আরও যোগ করেছেন, “যেভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, তাতে আমরা বিস্ফোরণের দিকে যাচ্ছি। আমি বিরোধীদের অনুরোধ করছি আমাকে বিলটি উপস্থাপন করতে দিন এবং আমি কেন এটি করতে চাই তা শুনুন”।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য রবি কিষাণ যে আইন আনার উল্লেখ করেছেন, তাতে অনেকই তাঁকে টুইটারে দুই সন্তানের নীতির জন্য আহ্বান জানান। কিন্তু এর পাশাপাশি নেটিজ়েনরা দ্রুত লক্ষ্য করেন যে গোরখপুরের বিজেপি সাংসদ নিজেই চার সন্তানের পিতা। স্ত্রী প্রীতির সঙ্গে রবি কিষানের চার সন্তান- তিন মেয়ে ও এক ছেলে। আর এরপরই শুরু হয় ট্রোলিং। অনেকেই এই নিয়ে নানা মন্তব্য করেন। শুধু তাই নয়, টুইটার ব্যবহারকারীদের মধ্যে একজন এটাও উল্লেখ করেছেন যে বিজেপির সাংসদ তাঁর পিতামাতার ছয় সন্তানের মধ্যে তৃতীয়।
রবি কিষাণ সম্পর্কে এই দুটি তথ্য উঠে আসতেই, যেসব সব মন্তব্য উঠে আসে তা হল- “দেখুন, কেন আমরা বিশ্বগুরু হয়ে উঠিনি, তার জন্য প্রধান বাধার মধ্যে তিনিই ছিলেন একজন। সরকার তাঁকে ২টি সন্তান রাখার পরামর্শ দিলেও তাঁর ৪টি,” একজন লিখেছেন। মিস্টার বিশ্বগুরু তাঁর পিতামাতার ৬ সন্তানের মধ্যে তৃতীয়। বিশ্বগুরুর মোট ১৮ জন ভাই-বোন আছে। কিছু নেটিজ়েনরা এও অভিযোগ করেছেন যে কিষাণের একটি ছেলে হওয়ার ইচ্ছেই তাঁর চারটি সন্তানের জন্ম দিয়েছে। এটা বলার কারণ তাঁর ছেলে সবার ছোট।