যেমনটা ভেবেছিলেন তেমনটা মোটেও হয়নি। বিদেশি কুস্তিগীর থেকে শুরু করে হাজার ধরনের প্রমোশনের পরেও জগন্নাথ পুরীর ‘লাইগার’ ছবির বক্স অফিসে কালো মেঘ। ছবির এই চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরেই এবার বড় সিদ্ধান্ত নিলেন ছবিটির অন্যতম প্রযোজক চার্মি কউর। সোশ্যাল মিডিয়াকে বিদায় জানালেন তিনি। একই সঙ্গে পরিচালক জগন্নাথ পুরীর উদ্দেশেও বলে গেলেন কয়েকটি কথা।
একটি টুইটে চার্মি লিখেছেন, “সোশ্যাল মিডিয়া থেকে একটু ব্রেক নিচ্ছি। পুরী জগন্নাথ আবারও ফিরে আসবে। ততক্ষণ পর্যন্ত নিজেরাও বাঁচুন ও আমাদেরও বাঁচতে দিন।” একে হাই বাজেট ছবি, তার উপর দক্ষিণী সুপারস্টার বিজয় দেবেরাকোন্ডার বলিউড ডেবিউ। এ বছরের অন্যতম সুপারহাইপড ছবি ছিল ‘লাইগার’। শোনা গিয়েছিল ছবিটি করার জন্য বিজয় নিয়েছেন ৩৫ কোটি টাকা। এখন শোনা যাচ্ছে প্রযোজককে নাকি ছ’য় কোটি টাকা ফিরিয়ে দিতে চলেছেন বিজয়। পরিচালক পুরী জগন্নাথের সঙ্গে পরবর্তী ছবিতেও একসঙ্গে কাজ করার কথা ছিল বিজয়ের। তবে লাইগারের এই করুণ পরিণতির পর সেই ছবিও এই মুহূর্তে বিশ বাঁও জলে। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ছবির বাজেট এক ধাক্কায় অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিচালক ও অভিনেতা দুজনেই নাকি পারিশ্রমিকও কম নিচ্ছেন। এও শোনা যাচ্ছে, যদি জল গন মন হিট হয় তবে তা থেকে লভ্যাংশ নিতে পারেন বিজয়।
এই ছবিতে সবচেয়ে বেশি ট্রোল্ড হতে হয়েছেন অনন্যা পান্ডেকে। অনন্যার অভিনয় নিয়ে রীতিমতো মিম বের হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই বলেছেন, ছবির চিত্রনাট্য আদপে ভীষণই অযৌক্তিক। এ ছবিকে সেই অর্থে বয়কট না করা হলেও দর্শক নিজেই সিনেমা হলে আসেননি। সাম্প্রতিক কালে আরও এক ছবির ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছেন এমন অবস্থা। তা হল আমির খানের ‘লাল সিং চাড্ডা’। চার বছর ধরে এই ছবি বানিয়েছিলেন আমির। তাঁর ছবি ফ্লপ হয়েছে। শোনা গিয়েছে, আমিরও নাকি প্রযোজকের স্বার্থে পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে কাটছাঁট করতে চলেছেন।