কলকাতার বেলেঘাটা পার্টি অফিসে নাট্য উৎসব করার জন্য আবেদন জমা দিতে গিয়েছিলেন ‘বিদূষক নাট্যমণ্ডলী’র নাট্য পরিচালক অমিত সাহা ও তাঁর সহকর্মী। তাঁদের মারধরের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় এক তৃনমূল নেতার বিরুদ্ধে। তা নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে বাংলার নাট্যজগতে। ফেসবুকে লম্বা পোস্ট করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিনেতা-পরিচালক অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তারপর জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ঋদ্ধি সেন প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অনির্বাণের বাংলায় লেখা পোস্টকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন তাঁরও এক নাট্যব্যক্তিত্ব সুমন মুখোপাধ্য়ায়।
ঋদ্ধি সেন তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন:
অমিত সাহা এবং অরূপ খাঁড়ার গায়ে হাত ওঠার ঘটনায় গোটা পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীরা এগিয়ে আসুক। দেখা যাক, কতজনের গায়ে হাত তুলবে এই তৃণমূলের লুম্পেন গুন্ডা বাহিনী। নাট্যোৎসবকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে এরা দেখিয়ে দিল মানুষের থেকে কেকের মূল্য বেশি। সদ্য গজিয়ে ওঠা উৎসবের ভিড়ে আর একটা উৎসব জুড়ে দেওয়া হোক। গণ ধোলাইয়ের উৎসব। যুক্তি আর বুদ্ধিকে চিতায় তুলে সব শাসক দল সেই গায়ে হাত তোলে। আবার তুলবে। বারবার তুলবে। আমরা ব্যর্থ। নির্লজ্জ। হতভাগ্য জনগণ। এই গায়ে হাত তোলা আমাদের সকলের গায়ে হাত তোলা। গণতন্ত্র পালন করা, ভোট এবং ট্যাক্স দেওয়া নাগরিককে রাতের বেলা পুলিশ ঘুষ চাইতে গিয়ে, সুবিধে করতে না পেরে, হেনস্থা করবে মিথ্যে অভিযোগ এনে। আর অমিত সাহাদের সুস্থভাবে নাট্যোৎসব আয়োজন করার জন্য মার খেতে হবে। আমাদের টালিগঞ্জের মহানায়ক- মহানায়িকারা সভা আলো করে ঘুরঘুর করবে ক্ষমতার মধুর পাশে। তাদের কাছে রাজনীতি একটা পার্ট টাইম জব। অনেকটা কলেজ অ্যাটেন্ডেন্স পাওয়ার জন্য সোশ্যাল ওয়ার্ক করার মতো। এরা না পারে অভিনয়। আর রাজনীতি তো ছেড়েই দিন। কোনওটার প্রতি কোনও কমিটমেন্ট নেই। তবুও তাঁরা তাকে সাজানো শোপিসের মতো MLA, MP। কিন্তু মার খাবে তাঁরা, যাঁরা সৎভাবে, নিষ্ঠা নিয়ে একটা নাট্যোৎসব করার চেষ্টা করবে। ধিক তৃণমূল কংগ্রেস।