নজরুল মঞ্চে এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে মঙ্গলবারের ‘বিশৃঙ্খলা’র স্মৃতি। মঞ্চ শূন্য। গতকাল এই মঞ্চেই শেষ গান গেয়েছিলেন কেকে। গোছানো মানুষ ছিলেন। তাই তৈরি করে এনেছিলেন গানের লম্বা তালিকাও। কুড়িটি গান গাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। প্রতিটি গানই আইকনিক। সেই তালিকায় আপনাদের জন্য…
প্রথমেই বেছে নিয়েছিলেন ‘ঝঙ্কার বিটস’-এর আইকনিক সেই গান ‘তু আশিকি হ্যায়’। দ্বিতীয় স্থানে ছিল ‘ক্যায়া মুঝে প্যায়ার হ্যায়’। তিন নম্বরে ঠিক করেছিলেন গাইবেন আরও এক হিট ‘দিল ইবাদত’। চারে বেছেছিলেম প্রেম, ‘মেরে বিনা ম্যায়’। পাঁচেও সেই প্রেমের গান, ‘লবো কা’। গোটা তালিকা জুড়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল তাঁর সুপারহিট সব গান। আপনি যদি ৯০ দশকে জন্মে থাকেন তবে সেই সব গান আপনি শোনেননি এমনটা হতেই পারে না।
প্রথম প্রেমের গান ‘মেরা পহেলা পহেলা প্যায়ার হ্যায়’ থেকে শুরু করে বন্ধুত্বের আইকনিক ‘ইয়ারো দোস্তি’… গানের তালিকা নাকি আবেগের আবাসস্থল? তালিকা দেখার পর এই প্রশ্ন মনে উঠতে বাধ্য। কলেজের ফেয়ারওয়েল থেকে শুরু করে চাকরি জীবনের শেষ দিনে যে গান গেয়ে বন্ধুরা আপনাকে বিদায় জানিয়েছিল সেই সব গানই গতকাল গেয়েছিলেন মানুষটা। বাংলায় আসবে বলে বেছেছিলেন ‘তুনে মারি এন্ট্রিয়া’। বেছেছিলেন ‘দেশি বয়েজ’, ‘ডিস্কো’র মতো গানও। দীর্ঘ তালিকার কুড়ি নম্বরে জায়গা করেছিল ‘পল’। মুহূর্তের গান, মনে রাখার গান। তাঁর গানের কথা মতোই মনে থেকে যাবে সেই সব মুহূর্ত। কারণ মুহূর্তের তো মৃত্যু হয় না। অমরত্বের অন্য নাম হয়।