বলিউডের ‘ধকধক’ গার্লকে কে না চেনেন। যার একটি ঠুমকায় দুলে উঠত পুরুষদের মন, তিনি আর কেউ নন মাধুরী দীক্ষিত। একসময় বলিউডে রাজ করেছেন মাধুরী। তাঁর অভিনয় ও রূপের ছটায় বুঁদ হয়ে থাকতেন সিনেপ্রেমীরা। এক কথায় উজ্জ্বল তাঁর কেরিয়ার। তবে তা গড়তে অনেককিছুর সম্মুখীন হতেও হয়েছে তাঁকে। একবার পরিচালকের থেকে অন্তর্বাস পরে শুট করা প্রস্তাব পান তিনি। মানতে পারেননি সেই প্রস্তাব। পরিচালকের সঙ্গে ঝগড়াও করে বসেন। কী হয়েছিল সেদিন?
এই ধরনের প্রস্তাব পাওয়া অভিনেত্রীদের কাছে নতুন নয়। সবসময় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পছন্দমত সবটা হয় না এই ইন্ডাস্ট্রিতে। কেউ মানিয়ে নেন, কেউ আবার বেঁকে বসেন। মাধুরীও ছিলেন তাঁদেরই দলে। ১৯৮৯ সালে পরিচালক টিনু আনন্দের ছবি ‘শনাখত’-এ একপর্দায় ধরা দিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন ও মাধুরী। ওই ছবির একটি দৃশ্যের জন্য শুধু ব্রা পরতে বলা হয় মাধুরীকে। আর এতেই বেঁকে বসেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে টিনু জানান, মাধুরীকে বলা হয় যদি তিনি নিজের পছন্দের ব্রা পরতে চান তাও হবে, কিন্তু পরতেই হবে। পরের দিন শুটিং-এ আর আসেননি মাধুরী। সাফ জানিয়ে দেন তিনি এই দৃশ্য করতে পারবেন না। এই নিয়ে বচসাও বাঁধে দু’জনের।
এরপর পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন বিগ বি। শুটিং-এ এসে সহ অভিনেত্রীকে না দেখতে পেয়ে কী হয়েছে জানতে চান তিনি। তাঁকে টিনু জানান, মাধুরী এই দৃশ্যে জন্য আপত্তি জানিয়েছেন। শাহেনশাহ বলেন, “যদি ওর আপত্তি থাকে তো কেন হচ্ছে এই দৃশ্য?” উত্তরে পরিচালক জানান, তাহলে ছবির জন্য সই করার আগে তাঁর এটা ভাবা উচিত ছিল। এরপর মাধুরীর মুখপত্র জানান, তিনি রাজি হয়েছেন শুটিং-এর জন্য, তবে একটু সময় চাই। তবে পরে বচসার জেরে মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় বন্ধ হয়ে যায় ছবির শুটিং। পরে আর কখনও মাধুরীর সঙ্গে কাজ করেননি টিনু।