সাল ১৯৮৭, রাম তেরি গঙ্গা মইলি ছবি-র মাধ্যমে দর্শক পেয়েছিলেন অপরূপ সুন্দরী এক অভিনেত্রীকে। রাজ কাপুরের হাত ধরে বলিউডে পা রেখেছিলেন তিনি। প্রথম ছবিতেই সাহসী পোজ়ে সকলের নজর কেড়েছিলেন তিনি। নজর কেড়েছিলেন আন্ডারওয়াল্ড ডন ইব্রাহিম দাউদের। তারপরই পাল্টে যায় তাঁর কেরিয়ার গ্রাফ। ১৯৯৪ সালে দাউদের সঙ্গে তাঁর ছবি পলকে ভাইরাল হয় নেট দুনিয়ায়। তাঁদের একসঙ্গে ক্রিকেট ম্যাচ খেলা দেখছিলেন। সেই ছবি সামনে আসতেই শুরু হইহই রব। প্রকাশ্যে উঠে আসে মন্দাকিনী ও দাউদের সম্পর্কের কথা। যেখানে দাঁড়িয়ে ১৯৯৩ সালে বিস্ফোরণ গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল। যে বিস্ফোরণের পিছনে ছিল দাউদের হাত। এরপরই যখন তার সঙ্গে মন্দাকিনীর সম্পর্কের খবর প্রকাশ্যে আসে একপ্রকার অলিখিতভাবে বলিউড থেকে ব্ল্যাকলিস্টেড হয়ে যান অভিনেত্রী।
এখানেই শেষ নয়, এই দুইয়ের একগোপন সন্তান ছিল বলেও মিলেছিল খবর। যেখানে শোনা যায় মন্দাকিনীর বোন সেই সন্তানকে নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন। তবে একটা সময়ের পর এই সম্পর্কের বোঝা আর বইতে পারেননি তিনি। নিজেকে এক প্রকার স্বস্তি দিতেই তিনি সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। স্থির করেছিলেন বিয়ে করে নেবেন। তাই করেন মন্দাকিনী। পাহাড় কোলেই ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কগয়ুর টি. রিপছে ঠাকুরকে বিয়ে করেন তিনি। প্রসঙ্গত দাউদের সঙ্গে কেবল মন্দাকিনী নয়, আরও অনেকেরই নাম জড়িয়েছে তাঁর সঙ্গে। কোন কোনও অভিনেত্রীকে তাঁর সঙ্গে দেখা গিয়েছে, কাউকে আবার গোপনেই রেখে দিয়েছিলেন এই ডন। একটা সময় কান পাতলে শোনা যেত বলিউডের অন্দরমহলে অনেক কিছুই দাউদের কথায় চলে। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই ঘোর কাটিয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে সিনেপাড়াকে। তবে দাউদের জীবনে সর্বাধিক আলোচিত কোনও সম্পর্কের খবর মানেই তা মন্দাকিনী, যাঁর রূপে মুগ্ধ ছিলেন বহু স্টার, কিন্তু একটা সময় সেই সম্পর্ক থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন অভিনেত্রী।