Actor’s Death: গন্ধে টিকতে পারছিলেন না প্রতিবেশীরা, দরজা ভাঙতেই উদ্ধার অভিনেতার দেহ

বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে পচা গন্ধ বের হচ্ছিল কিছু দিন ধরেই। প্রতিবেশীরা খবর দিয়েছিলেন স্থানীয় থানায়। পুলিশ এসে তালা ভাঙতেই হতবাক সকলেই। উদ্ধার হল অভিনেতার পচাগলা দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে পুনের তালেগাঁওর জারবিয়া সোসাইটির একটি ফ্ল্যাটে। মৃতের নাম রবীন্দ্র মহাজানি। মরাঠি ফিল্ম দুনিয়ার পরিচিত নাম ছিলেন তিনি। তাঁর ছেলে গশমীর মহাজানি হিন্দি ধারাবাহিকের পরিচিত নাম।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত্যুকালে রবীন্দ্রের বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত প্রক্রিয়া। দেহটির ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। কীভাবে মারা গেলেন অভিনেতা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, খবর পাওয়া মাত্রই পুনে থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন ছেলে গসমীরও। বাবার অস্বাভাবিক মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবার সঙ্গে বেশ ভালই সম্পর্ক ছিল তাঁর। ক’দিন ধরেই বাবার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছিলেন অভিনেতা। বারবার ফোন বেজে যাচ্ছিল। এর পরেই এক বন্ধুকে ফোন করে বাবার খোঁজ নেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। যদিও তাঁর আগেই প্রতিবেশীরা গন্ধ আসায় পুলিশে খবর দেন।

কর্ণাটকের বেলগাউমে জন্ম নেন রবীন্দ্র। ১৯৬০ সালে মুম্বই আসেন কাজের খোঁজে। ট্যাক্সি ড্রাইভার হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু স্বপ্ন ছিল অভিনেতা হবেন। সেই স্বপ্নে ভাঁটা পড়েনি। বহুদিম চেষ্টা করার পর অবশেষে ব্রেক মেলে তাঁর। হিন্দি ছবি ‘সাত হিন্দুস্থানী’ দিয়েই যাত্রা শুরু হয় তাঁর। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬৯ সালে। ওই ছবিটি দিয়েই বলিউডে অভিষেক ঘটে অমিতাভ বচ্চনের। এ ছাড়াও কিরণ শান্তারামের ‘জুঞ্জ’, ‘লক্ষ্মী’ , ‘দুনিয়া করি সলম’ ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছে ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘পানিপথ’এও।