ওয়েব ক্যাম মডেল ও পর্নোগ্রাফি অভিনেত্রী হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন মিয়া খালিফা। তখন কেন, এখনও তিনি পুরুষ মনের ঝড়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এই পেশা নিয়ে অনেক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল সেই সময়। তারপর মাত্র ৩ মাস এই ইন্ডাস্ট্রিতে অতিবাহিত করে ২০১৫ সালে ছেড়েছিলেন কাজ। তবে কাজ ছাড়ার পরও অতীত তাড়া করে বেরিয়েছে অভিনেত্রীকে। নায়িকার দাবি, তাঁকে সব কিছুর থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নীল ছবি তৈরির কাজ ছাড়ার পরও তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে দিন কাটাতেন।
বিবিসিকে দেওয়া তাঁর একটি সাক্ষাৎকারে মিয়া বলেছিলেন, “আমার একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হওয়ার পর অনেক মহিলাই যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। আমার ম্যানেজার সেই সমস্ত ই-মেল খুঁটিয়ে দেখতেন। তারপর বাছাই করা কিছু মেল আমাকে পড়াতেন। পাচার হওয়া মেয়ে, জোর করে পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে আনা হয়েছে এমন মেয়েরা আমাকে ই-মেল পাঠিয়েছিলেন। আমার মনে হয়েছিল, ভাগ্যিস আমি এ ব্যাপারে কথা বলতে শুরু করেছিলাম। না হলে ওরাও ওদের সমস্যার কথা আমাকে জানাতে পারত না।”
সেই সাক্ষাৎকারে মিয়া জানিয়েছিলেন, পর্ন ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার পরও কেমন দুর্বিষহ জীবন ছিল তাঁর। তিনি বলেছিলেন, “এই ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার পর আতঙ্কে ছিলাম। আমার ট্রমা হত। মস্তিষ্কে চাপ বাড়ত। লোকের সামনে গেলে সেই স্ট্রেস আরও বাড়ত। মনে হত মানুষ আমার পোশাকের ভিতরে কী আছে, দেখার চেষ্টা করছে। আমি খুব লজ্জা পেতাম। আমার মনে হত, জীবনে গোপনীয়তা হারিয়ে ফেলেছি। মানুষ আমাকে গুগল করলেই দেখতে পেত।”
মিয়া জানিয়েছিলেন তাঁর অ্যাডাল্ট ইন্ডাস্ট্রিতে আসার বিষয়টা প্রথমে পরিবারের লোকে জানত না। পরে জানতে পেরে তাঁকে অস্বীকার করেছেন তাঁরাও।