রবিবারের আকাশ জুড়ে বৃষ্টি হয়েছে। তিলোত্তমার মুখ ভার। সঙ্গীত জগতেও সেই শোকের ছায়া পড়ল ছড়িয়ে। ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধে হার মানলেন বাংলা ব্যান্ড দুনিয়ার পথিকৃৎ ‘মহীনের ঘোড়াগুলির’ আদি ঘোড়া ‘বাপিদা’ ওরফে তাপস দাস। বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি। চলছিল কেমোথেরাপি। তাঁর চিকিৎসার খরচ চালানোর জন্য একজোট হয়েছিলেন রূপম ইসলাম থেকে শুরু করে অর্ক মুখোপাধ্যায়, সাহানা বাজপেয়ী, সিধুসহ সকলেই। চেয়েছিলেন অর্থসাহায্যও। শহরের বুকে আয়োজিত হয়েছিল কনসার্ট। হুইলচেয়ারে করে সেই কনসার্টে হাজির হয়েছিলেন বাপিদা।
পরে অবশ্য অন্যান্য শিল্পীর আবেদনে সাড়া দিয়ে তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নেয় রাজ্য সরকার। এসএসকেএমেই চলছিল তাঁর চিকিৎসা। এ দিন তাঁর মৃত্যুতে টুইটে শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি লেখেন, “বাপিদার মৃত্যুতে আমি মর্মাহত। ভারতের প্রথম রক ব্যান্ডের অংশ ছিলেন তিনি। তিনি গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। আমাদের সরকার তাঁর চিকিৎসার ব্যয়ভার নিয়েছিল। শিল্পীর স্ত্রী সুতপা ও তাঁর অনুরাগীদের জন্য আমার সমবেদনা রইল।”
I mourn the death of Tapas Das ( Bapi da), who was a part of India’s first rock band in Bangla, Moheener Ghoraguli. He was diagnosed with terminal illness and our government bore his full treatment costs at SSKM hospital for months as our humble support to the talented artiste’s…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) June 25, 2023
শোকাহত গায়ক রূপম ইসলামও। তিনি লেখেন, “এরকম কত বাঙ্ময় মুহূর্তই রয়ে গেল শুধু… সচল হয়েই থেকে গেল গানজীবনের অনন্ত পথ চলা… থেমে গেল বললে ভুল হবে, মারাত্মক ভুল… বাপীদা— সশরীরে তুমি আর নেই— কিন্তু সর্বত্র এভাবেই তুমি থাকবে। লাল সেলাম। বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক।” নাকে নল গুঁজে সঙ্গীতমেলায় হাজির হয়েছিলেন তাপস বাবু। দেখেছিলেন দিন বদলেন স্বপ্ন। ডাক দিয়েছিলেন সুদিনের। খোলা মঞ্চে বলেছিলেন, ” সুদিন.. কাছে এসো,ভালোবাসি একসাথে এই সব কিছুই…”। সেই সুদিনেরই অপেক্ষায় এতদিন ছিলেন সকলে। কিন্তু রবিবারের সকালে আচমকাই শেষ হল এক অধ্যায়। চলে গেলেন কিংবদন্তী। এই শোকের শেষ কোথায়?