খড়দহে এসে মেজাজ হারালেন নচিকেতা, মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল গালাগালিও!
শীতের সন্ধেয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন নচিকেতা চক্রবর্তী। খড়দহের এক ক্লাবে থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু রেগে গিয়ে জল যে এতটা গড়াবে তা ধারণা করতে পারেননি কেউই। এতটাই রেগে গেলেন নচিকেতা যে মুখ ফসকে বেরিয়ে এল গালাগালিও। কী হয়েছে?
শীতের সন্ধেয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন নচিকেতা চক্রবর্তী। খড়দহের এক ক্লাবে থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু রেগে গিয়ে জল যে এতটা গড়াবে তা ধারণা করতে পারেননি কেউই। এতটাই রেগে গেলেন নচিকেতা যে মুখ ফসকে বেরিয়ে এল গালাগালিও। কী হয়েছে? প্রথম সারিতে বসে এক ভক্ত ক্রমাগত ছবি তুলে যাচ্ছিলেন তাঁর, করছিলেন ভিডিয়ো। আর তাতেই কার্যত মেজাজ হারিয়ে ফেলেন নচিকেতা। মঞ্চের মধ্যে হাজারও দর্শকের সামনে মোবাইল ফোনকে এক অশ্লীল শব্দে ডেকে তিনি বলেন, “ছবি-টবি তুলো না। গান শুনতে এসেছ, গান শোনো, ফটোগ্রাফার তুমি? এখন কার ছেলেমেয়েদের কোনও কাজ নেই। সারাক্ষণ হাতে **** (লেখার অযোগ্য) নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। না করে পড়াশোনা, না শোনে কথা, কিছুই করে না।” তাঁর যুক্তি ছিল, তিনি গান গাইতে এসেছেন, ছবি তোলার অনুমতি দেননি।
যদিও এর পরেও ওই ভক্ত কথা শোনেননি। তিনি ছবি তোলা চালিয়ে যান। মেজাজ আরও গরম হয়ে ওঠে নচিকেতার। তিনি এক সময় হাল ছেড়ে ফের বলে ওঠেন, “কত অ্যারোগেন্ট! আমাকে এখন ওর সামনে দাঁড়িয়ে গান গাইতে হবে। ও ছবি তুলেই যাবে।” শিল্পী ও ভক্তদের এই বাদানুবাদে বিরক্ত হয়ে ওঠেন উপস্থিত দর্শকও। নচিকেতাও গান গাওয়া বন্ধ করে দেন। নেমে যান তিনি। ক্লাবের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বিবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এক ক্লাবকর্তা বলেও ওঠেন, “বড় শিল্পীদের অনুষ্ঠান করাতে আনলে তাঁদের মর্জিমতো চলতে হয়।” পরবর্তীতে যদিও শান্ত হয় পরিস্থিতি, গান শুরু করেন নচিকেতা।
তাঁর এই কাণ্ডে ভক্তদের মধ্যে দু ধরনের প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ বলছেন, শিল্পী যা করেছেন একেবারে ঠিক। আর কিছু জনের মতে, “ডিজিটাল যুগে প্রিয় শিল্পীকে কাছ থেকে দেখতে পেয়ে ছবি তোলাই তো স্বাভাবিক। নচিকেতা ভক্তের ভাবাবেগে আঘাত করে মোটেও ঠিক করেননি।”