প্রীতি জিন্টা ও আলিয়া ভাট আগেই অভিযোগ এনেছিলেন, এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন নয়নতারা। স্বামী বিঘ্নেশ শিবমের সঙ্গে কুম্ভকোনম মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন নায়িকা। সেখানে গিয়ে যে এরকম পরিস্থিতির শিকার হতে হবে তা নিজেও ভাবেননি তাঁরা। ঠিক কী ঘটেছে? একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, সেই ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, নায়িকা সবে পুজো দিয়ে বের হচ্ছেন এমন সময়েই তাঁর নজরে আসে এক ব্যক্তি কার্যত লুকিয়ে তাঁর ছবি তুলে যাচ্ছেন। নয়নতারার নিরাপত্তারক্ষীরা বারণ করলেও তিনি শোনেননি। এরপরেই ওই ব্যক্তির দিকে এগিয়ে যান দক্ষিণের সুপারস্টার। রেগে গিয়েই বলেন, “যদি আর একবার দেখি, আর একবার এমন করলে ফোনটা ভেঙে ফেলে দেব”। এরপরেও পিছু হটেননি ওই ব্যক্তি। নিরাপত্তারক্ষীরা দায়িত্ব হাতে তুলে নেওয়ার পর ক্ষান্ত দেন তিনি। নয়নতারার ওই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই দু’ধরনের প্রতিক্রিয়া মিলেছে। কারও মতে তিনি যেভাবে ব্যবহার করেছেন তা ঠিক নয়, ভালভাবেই বলতে পারতেন। অন্যদিকে একটা বড় অংশের মতে, “তিনি যে করেছেন একেবারে সঠিক, কেউ ইচ্ছের বিরুদ্ধে ছবি তুলতে চাইলে সেটা কি উচিৎ?”
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে প্রায় অনুরূপ ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল আলিয়া ভাট ও প্রীতি জিন্টাকে। অলস দুপুরে নিজের বাড়ির ড্রয়িংরুমে বসে নিজের মতো সময় কাটাচ্ছিলেন তিনি। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। আঁতকে উঠেছিলেন আলিয়া। পাশের বাড়ির ছাদে উঠে দুই ব্যক্তি তাঁর অত্যন্ত ব্যক্তিগত ছবি ফাঁস করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অন্যদিকে দিন দুয়েক আগে দেশে ফেরেন প্রীতি জিন্টা। অপ্রীতিকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হয় তাঁকেও। তিনি জানান, হঠাৎই এক মহিলা তাঁর একরত্তি মেয়ে জিয়ার ছবি তুলতে চান। প্রীতি বারণ করেন। তিনি চলেও যান। কিন্তু আচমকাই ওই মহিলা দৌড়ে এসে প্রীতির মেয়েকে কার্যত ছিনিয়ে নিয়ে তাঁর ঠোঁটে পাশে ভেজা চুমু দিয়ে পালিয়ে যেতে যেতে বলেন, “কী মিষ্টি বাচ্চা”। ব্যাপারটা মোটেও ভাল ভাবে নেননি। অজানা কেউ এসে তাঁর মেয়েকে এভাবে চুমু দিয়ে যাবেন, তা মোটেও তাঁর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। প্রীতি লেখেন, “আমি যদি সেলিব্রিটি না হতাম তাহলে খুব বাজে প্রতিক্রিয়া দিতাম। নিজেকে ঠাণ্ডা রেখেছিলাম। কারণ আমি চাইনি আমার জন্য অশান্তি তৈরি হোক”। সেলেবদের সঙ্গে এ হেন ব্যাপার ক্রমাগত ঘটতে থাকায় খুশি নন তারকাদের একটা বড় অংশ। এমনকি সাধারণ মানুষী বিরক্ত। এই প্রবণতা কমবে কবে? প্রশ্ন তুলেছেন সকলেই।