বেঁচে থাকলে আজ বয়স হত ৭১। তবে কাপুর ভিলাতে আজ শুধুই মন খারাপের মেঘ। নেই কোনও উদযাপন, কোলাহল আছে শুধু একরাশ স্মৃতি। যা আগলেই বেঁচে রয়েছেন স্ত্রী ও সন্তানরা। হ্যাঁ, আজ বিখ্যাত অভিনেতা ঋষি কাপুরের জন্মদিন। আর এই বিশেষ দিনে প্রয়াত স্বামীকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট নীতু কাপুরের।
খুব স্বাভাবিকভাবেই আজকের দিনে ঋষিকে মিস করছে তাঁর পরিবার। তাই সকাল-সকাল স্বামীর একগুচ্ছ ছবি দিয়ে একটি ভিডিয়ো বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্মৃতিচারণা করলেন নীতু। দীর্ঘদিনের সম্পর্ক তারপর বিয়ে, সংসার, সন্তান স্বামী একপ্রকার তাঁর পরম বন্ধু ছিলেন। আজ সেই বন্ধু আর নেই। এই প্রসঙ্গে নীতুর বক্তব্য, “এরকমই হয়। একটা মানুষ জীবনে আসে। একসঙ্গে থাকতে থাকতে সেই সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু একদিন চলে যায়। এটাই কালের নিয়ম। তবে ও আমাদের সঙ্গেই রয়েছে সবসময়। আমরা ওকে প্রত্যেক মূহুর্তে উদযাপন করি প্রতিটা মুহূর্তে মিস করি। ”
অভিনেতা ঋষি কাপুর কেমন ছিলেন তা নিয়ে আর কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে বাবা ঋষি কাপুর কেমন ছিলেন? তা বারেবারে উঠে এসেছে স্ত্রী নীতুর কথায়। ছেলে রণবীর কাপুর ও মেয়ে ঋদ্ধিমা কাপুরকে এক প্রকার আগলে রাখতেন তিনি। কখনও তাঁদের বকাঝকা পর্যন্ত করেননি তিনি। বরং এই পুরো শাসনের দায়িত্ব ছিল মা নীতুর হাতেই। বেশ কড়া হাতেই সন্তানদের সামলেছেন নীতু। তবে ছেলের সঙ্গে বরাবর একটা দূরত্ব ছিল ঋষির। নিজের বইতে তা লিখেও গিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমার আর রণবীরের মধ্যে একটা দূরত্ব আছে যার সঙ্গে অনেকটা আমার আর আমার বাবার সম্পর্কের মিল রয়েছে। মাঝেমধ্যে মনে হয় কোনও কোনও সময় ছেলের বন্ধু হতেই ভুলে গিয়েছি।”
সন্তানদের নিয়ে চিন্তিত হলেও নিজের মুখে তা কখনও তাঁদের বলেননি ঋষি। বরং সবসময় নীতুকেই ব্যবহার করেছেন তাঁর কথা ছেলেমেয়েদের কান পর্যন্ত পৌঁছোনর জন্য। আর এরই সুযোগ নিতেন নীতু। ছেলেমেয়েদের রিপোর্ট কার্ডে সই করানোর সময় ভয় দেখাতেন যে পরের বার বাবাকে দিয়ে সই করাতে হবে এই বলে।