বাংলাদেশের বিতর্কিত সঙ্গীতশিল্পী নোবেল। সম্প্রতি আরও এক বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের এক কলেজের অনুষ্ঠানে সম্পূর্ণ মদ্যপ হয়ে স্টেজে উঠেছিলেন। যা নিয়ে গোটা দেশেই ওঠে প্রতিবাদের ঝড়। প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী সালসাবেল মাহমুদও। নোবেল আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছিলেন, “স্টেজে ওঠার আগে হালকা একটু রিলাক্সেশনের জন্য, হালকা একটু ফিলিংসের ভেতরে যাওয়ার জন্য একটু মদ পান করার দরকার পড়ে। অতিরিক্ত মদ পান করার ধারেকাছে যাইনি। স্টেজে ওঠার আগে সামান্য মদ পান করেছিলাম।” স্বীকারোক্তির ঠিক দুই দিন পরে স্ত্রী সালসাবেল জানালেন নোবেল সাফ জানিয়েছেন, নেশা তিনি ছাড়তে পারবেন না। তাই স্ত্রীকেই ছাড়লেন গায়ক। তিনি লিখেছেন, “আমি হয়তো বা আগে ক্লিয়ার করিনি ব্যাপারটা যেহেতু আমরা দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশনটা উকিলকে বলে হোল্ডে রেখেছিলাম, কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরও যখন আমার ও নোবেলের কথা হয় আমি তাকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসা নেবার জন্য জিজ্ঞেস করি। সে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেয় সে কখনো মাদক ছাড়বে না এবং বলে, “নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম লল” এরপর আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করি।” প্রাক্তনকে শুভকামনাও জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে এনেছেন কিছু বিস্ফোরক অভিযোগ। তিনি আরও যোগ করেন, “আমার প্রাক্তনকে আমি শুভকামনা জানাই । নোবেল কখনোই এতো অসুস্থ ছিলো না । এমন না যে নোবেলের আজকের এই অবস্থার জন্য ও শুধু একা দায়ী । অবশ্যই সে নিজেই সবচেয়ে বেশি দায়ী, কিন্তু তার মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষদের অবদান আছে। সরকারি প্রশাসনিক উর্ধতন কর্মকর্তা , রাজনীতিবিদ, ক্ষমতাশালী ব্যাবসায়ী; যাদের আগের ক্রিমিনাল রেকর্ড আপনারা নিউজে দেখেছেন অথবা এখনও দেখেননি, কিন্তু নোবেলের আশে পাশে তাদের অবশ্যই দেখেছেন এবং দেখে থাকবেন ।” তাঁর স্ত্রী তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য ব্যবসায় যারা সচল তাঁদের বিরুদ্ধেও। তাঁর কথায়, “বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য ব্যাবসায় তারা সচল এবং কিছু এয়ার হোস্টেসদের (একজন এয়ারহোস্টেস যে অন্য এয়ারহোস্টেসদের পরিচালনা করে এবং ডিস্ট্রিবিউশন সুবিধার্থে পরিচিত মুখ/ভিক্টিম খুঁজে বের করে) মাধ্যমে এবং অন্যান্য পন্থায় তারা দেশে মাদক আমদানি করে এবং গোপনভাবে ডিস্ট্রিবিউশন করে যার একজন ভিক্টিম নোবেল নিজেই , আসলে শুধু ভিক্টিম বললে ভুল হবে এখন জড়িত।”
ভালবেসেই বিয়ে করেছিলেন দু’জনে। সেই বিয়েও আজ ভাঙনের মুখে। স্ত্রীর বিরুদ্ধে এর আগে অভিযোগও এনেছিলেন তিনি। কিছু দিন আগে তাঁর এক পোস্ট নিয়ে শুরু হয়েছিল হইচই। তাঁর ফেসবুক পোস্টে নোবেল লেখেন, “সব অঘটন আমার সঙ্গেই ঘটেচ্ছে। হৃদয় ভেঙে গিয়েছে, মাদক আর মদ। মাথায় ৭০টা সেলাই পড়েছে। আমার প্রাক্তন স্ত্রী সেই কারণে খুশি হয়েছে।” এখানেই থামেননি তিনি। আরও লেখেন, “কেরিয়ার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে আমার, শুধুমাত্র মৃত্যুই এখন বাকি আছে। তোমাকেও স্বাগত প্রিয়। তোমাকেও গ্রহণ করে নেব।” যদিও স্ত্রীর এই ফেসবুক পোস্টের পর এখনও চুপই আছেন তিনি। তাঁর কীভ প্রতিক্রিয়া হয় এখন সেটাই দেখার।