২০২০, তারপর ২০২১— পরপর দুইবছর একেবারে নাকানিচোবানি খাইয়ে ছেড়েছে করোনা সংক্রমণ! সমগ্র বিশ্বের মানুষ তাকিয়ে রয়েছে ২০২২-এর দিকে। সকলেই চাইছেন একটা কিছু ভালো হোক। অথচ ভবিষ্যতের কথা কেউ জানেন না। সমস্ত কিছুই অনিশ্চিত। ইতিমধ্যেই ওমিক্রন ছড়িয়ে যাচ্ছে চারিদিকে। জ্যোতিষী, নিউমেরোলজিস্ট, ট্যারট কার্ড রিডাররা ইতিমধ্যেই নূতন বৎসর নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করতে শুরু করেছেন। অথচ জানলে অবাক হবেন, ২০২২ সালে কী হতে চলেছে তা ৫০০ বছর আগেই বলে গিয়েছিলেন এক মহান ভবিষ্যবক্তা। তাঁর নাম নসট্রাদামুস।
সেই ১৫৫৫ সালে প্রকাশিত হয়েছিল এই বিখ্যাত ভবিষ্যদ্রষ্টার বিখ্যাত বই-এর প্রথম সংস্করণ— ‘দ্য প্রফাসিস’। গীতিকাব্যের ছলে সেই বইয়ে লেখা রয়েছে বিশ্বের উল্লেখযোগ্য ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী। রয়েছে যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, গুপ্তহত্যা, পারমাণবিক বোমার তাণ্ডব এবং বিপ্লবের কথা। সেই ভবিষ্যদ্বাণীগুলিই বিখ্যাত করে তুলেছে নসট্রাদামুসকে। এবার দেখে নেওয়া যাক ২০২২ সাল নিয়ে নসট্রাদমুসের বক্তব্য।
বেমালুম গায়েব হতে পারেন এক রাজনৈতিক নেতা!
‘প্রধান চরিত্রের হঠাৎ মৃত্যু, তিনি বদলে যাবেন এবং তারা অন্য একজনকে তার রাজ্যপাটের দায়িত্ব দেবেন’
কিছু ব্যক্তির কাছে এই ধাঁধার অর্থ হল, নতুন বছরে বিশ্বের একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের নেতা এবং দেশের শাসকের হঠাৎই মৃত্যু হবে। ফলে তার দলেরও অবলুপ্তি ঘটবে। কেউ কেউ মনে করছেন সম্ভবত সেই ব্যক্তিটি উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম-জং-উন। কেউ আবার ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের কথাও উল্লেখ করছেন। আবার কিছু ব্যক্তি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দিকেও ইঙ্গিত করছেন।
বিশ্ব উষ্ণায়ন
‘সূর্যের মতো, উজ্বল সমুদ্রকে আটকে দেবে মস্তক। কৃষ্ণ সাগরের মাছেরা প্রায় জ্যান্ত সেদ্ধ হয়ে যাবে’
নসট্রাদামুস সম্ভবত এক সৌর ঝড়ের পূর্বাভাস দিতে চেয়েছেন তাঁর এই ভবিষ্যদ্বাণীতে। সম্ভবত দুই মেরুর বরফ গলে যাবে। ফলে সাগরের জলের উচ্চতাও বাড়বে। তিনি এই বছর ভূমিকম্প, বন্যা সহ আরও নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন।
মুদ্রাস্ফীতি এবং দুর্ভিক্ষ
‘গমের মূল্য ছুঁয়ে ফেলবে আকাশ/মানুষ সম্পূর্ণভাবে দিশাহার হয়ে পড়বে/এমনকী হতাশায় পাশের বন্ধুকেও খেয়ে ফেলতে দ্বিধা করবে না!’
মানুষের মানুষ খেয়ে ফেলার কথাটি সম্ভবত রূপক। সত্যিটা হল, গত চার দশকে আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতি সর্বোচ্চ অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে। অন্যান্য দেশের অবস্থাও তথৈবচ। ফলে অভাবের তাড়নায় মানুষ তাঁর প্রিয়জনকেও ধোকা দেবে। অশান্ত পরিস্থিতিতে মানুষ অনৈতিক উপায়ে হলেও অর্থ উপার্জন করে রুটি জোগাড় করার চেষ্টাতেই ব্যস্ত থাকবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্থান
‘উঁচু পর্বতের উপরে গোলাকার চাঁদ/ নতুন মহাজ্ঞানী ব্যক্তিটি তার একক মস্তিষ্ক দিয়ে তা দেখছে/ তাঁর শিষ্যদের দ্বারা অমর হওয়ার আমন্ত্রণ রইল/দক্ষিণে চোখ, বুকের উপর হাত, শরীরে জ্বলছে আগুন’
বেশ কিছু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মধ্যে ‘সচেতনতা’র প্রকাশ ঘটছে বলে দাবি করছেন কিছু ব্যক্তি। ভবিষ্যদ্বাণী সতর্ক করছে, সেই সকল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন ব্যক্তির মধ্যে একজন আত্ম সচেতন হয়ে উঠবে ও সমগ্র ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ তুলে নেবে নিজের হাতে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পতন
‘রোমাদের সময়ের পবিত্র মন্দির, তাদের ভিত্তির ভিত্তিকে প্রত্যাখান করবে’
কেউ কেউ বলছেন এই ভবিষ্যদ্বাণীর অর্থ হল ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পতন যা শুরু হয়েছে ব্রেক্সিট দিয়ে এবং শেষ হবে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর বিলোপ দিয়ে।
ধূমকেতুর ধাঁধা
২০২২ সালে পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে ধূমকেতু! অসংখ্য প্রাণহানির সাক্ষী থাকবে পৃথিবীর মানুষ।
আরও পড়ুন: Baba Vabga for 2022: আগামী বছর পৃথিবীর ভাগ্যে কী রয়েছে?বাবা ভাঙ্গার গণনা কখনও বিফলে যায় না