
ইরানের অন্যতম জনপ্রিয় পরিচালক দারিউশ মেহরজুইয়ের দেহ উদ্ধার হল তাঁর নিজের বাড়ি থেকেই। শনিবার সন্ধ্যায় তেহরানের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। শুধু ওই পরিচালকই নন, উদ্ধার হয়েছে তাঁর স্ত্রীর দেহও। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পরিচালক ও তাঁর স্ত্রীর ঘাড়ে বারংবার আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তেহরানের কাছে আলবোর্জ প্রদেশের প্রধান বিচারপতি হোসেন ফাজেলি-হরিকান্দির এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানান, মেহেরজুই স্থানীয় সময় রাত ৯টা নাগাদ নিজের মেয়েকে বাড়িতে নৈশভোজের জন্য আমন্ত্রণ জানান। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর মেয়ে সেখানে পৌঁছলে বাবা-মায়ের ক্ষতবিক্ষত দেহ দেখতে পান। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। যদিও প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধস্থলে জোর করে প্রবেশের কোনও চিহ্ন ছিল না। এ ছাড়াও ঘরের দরজা ও বাকি কোথাও ধ্বস্তাধস্তির চিহ্নও মেলেনি বলেই জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি ইরানের সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ-এর একটি রিপোর্ট জানাচ্ছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ইতিমধ্যেই চার জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও খবর। পুলিশ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে। পরিচালককে হত্যার পিছনে পরিচিত কারী হাত থাকার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
এই গোটা ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন সে দেশের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী মহম্মদ মেহেদি ইসমাইলি। ইরানিয়ান ছবির পথপ্রদর্শক বলেও তাঁকে উল্লেখ করেন মেহেদি। ১৯৩৯ সালে তেহরানে জন্মগ্রহণ করেন পরিচালক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তিনি দর্শন নিয়ে পড়াশোনাও করেছেন। তাঁর প্রথম ছবি মুক্তি পায় ১৯৬৭ সালে। নাম ‘ডায়মন্ড ৩৩’, যা ছিল আদপে জেমস বন্ড সিরিজের এক প্যারোডি।