রাঘবের প্রেমের টানে ঝড় উঠল সোশ্যাল দুনিয়াতে। পরিণীতির প্রেমে মজে ভালোবাসার চিঠি লিখলেন আপ নেতা। রাজনীতি ছেড়ে এবার পরিণীতিতেই মজলেন রাঘব চাড্ডা। রটনা তো অনেক আগে থেকেই চলছিল রাঘব চাড্ডা আর পরিণীতির প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে। সেই সম্পর্কেই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুদিন আগেই সিলমোহর বসিয়েছেন এই চর্চিত যুগল। নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পর্ককে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সেরেই ফেলেছেন বাগদান পর্ব। দিদি প্রিয়াঙ্কা চোপড়া সহ দিল্লির রাজনীতিক, কে ছিলেন না সেই অনুষ্ঠানে। দিল্লির কনৌট প্লেসের কাপুরতলা হাউজে বাগদান পর্ব মিটে যাওয়ার পর সমাজমাধ্যমে পরিণীতি লিখেছিলেন ‘দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটল’। প্রেমের ঈপ্সিত পরিণতি। এবার কলম ধরলেন রাঘব চাড্ডা।
হবু স্ত্রী-কে নিয়ে নিজের মননের কথা তুলে ধরলেন রাঘব চাড্ডা। আর রাঘবের ভালোবাসার চিঠিতে মজলেন পরিণীতিও। সমাজমাধ্যমে নিজেদের একটি সুন্দর ছবি পোস্ট করে সম্প্রতি রাঘব লিখেছেন, ‘একটি ভালো দিনেই এই সুন্দরী মেয়েটি আমার জীবনে আসে, উচ্ছ্বল হাসি, রঙিন আলোর রোশনাই নিয়ে আসে জীবনে। তার আশ্চর্য প্রশান্তির হাত জীবনকে একটা অন্যমাত্রা দিয়েছে। একটা ঐশ্বরিক প্রেম, একটা অদ্ভূত অবলম্বন। আমাদের বাগদান এমনই একটা আনন্দের মুহূর্ত ছিল, আনন্দের অশ্রু ছিল, ছিল হাসি, ছিল নাচ-গান আর প্রিয়জনদের কাছে আসা।’ ওই ছবি পোস্টের পরেই তার কমেন্টবক্সে উঠে এসেছে একাধিক মন্তব্য। পরিণীতির ভাই শিবং চোপড়া লিখেছেন, ‘সুপার ডিউড?’ আবার তাঁদের এক ভক্ত লিখেছেন, ‘রাজনীতি সে পরিণীতি তক!’ কেউ বলছেন, ‘যা বলুন, জুটি কিন্তু দারুণ!’
কবিতার মতো রাঘবের এই স্মৃতিযাপনের পরেই উদ্বেল হয়েছেন পরিণীতি, রাঘবের ভক্তরা। তাঁদের আংটি বদলের মুহূর্তের আনন্দের কথা উঠে আসায় জল্পনাও শুরু হয়েছে নিরন্তর। মঙ্গলবার যে ছবি পোস্ট করেছেন রাঘব, তাতে দেখা যায় পরিণীতিকে আগলে রয়েছেন রাঘব। এ যেন জন্মজন্মান্তরের ভালোবাসা। আগলে রাখাই যে ভালোবাসার ধর্ম। হাতের উপর হাত রাখা সহজ নয়, সারাজীবন বইতে পারা সহজ নয়। মা-বাবাকে ছেড়ে পরিবার ছেড়ে রাঘবের জীবনে যে এল, তার অশ্রু মুছিয়ে সুখের আলোয়, আনন্দ-উদ্বেল হাসিতে তাকে ভরিয়ে তোলার অঙ্গীকার করেছেন রাঘব। এই ভালোবাসার চিঠি সেই প্রেমের স্লোগান শোনায়। নিভৃত, অথচ কী প্রগাঢ়।