চন্ডীগড়ে বিলাসবহুল পাঁচতারা আজ মেতে উঠেছে। চূড়া, কানের দুলে সেজে পত্রলেখা মালা পরিয়েছেন প্রেমিক রাজকুমারকে। দীর্ঘ ১১ বছরের প্রেম পরিণতি পেয়েছে বিয়েতে। কনের লজ্জা মাখা হাসি, বরের উৎকণ্ঠা এ সবের মধ্যেই ওই হাই প্রোফাইল বিয়েতে মিশে গিয়েছে এক টুকরো বাঙালিয়ানা।
হাতেশাঁখা পলা পরেছেন পত্রলেখা। বিয়ের সাজ বাঙালি কনের মতো না হলেও মাথার ওড়নায় বড় বড় করে লিখেছেন স্বামীর জন্য ভালবাসার বার্তা। ওড়নায় লেখা, ‘আমার পরাণ ভরা ভালবাসা, আমি তোমায় সমর্পণ করিলাম’। পত্রলেখা বাঙালি। বেড়ে ওঠা শিলংয়ে। পুরো নাম পত্রলেখা পাল। আর এই বাঙালি মেয়ের সঙ্গেই ১১ বছর প্রেম পর্ব চালিয়েছেন রাজকুমার।
বিশেষ দিনের প্রথম ছবি প্রকাশ্যে। সঙ্গে সামনে এসেছে সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর জন্য রাজকুমারের মন উজাড় করা ভালবাসার বার্তা। বিয়ের মুহূর্তের ছবি পোস্ট করে রাজকুমার তাঁর ‘এভরিথিং’য়ের জন্য লিখেছেন, “অবশেষে ১১ বছরের ভালবাসা, মজা, রোম্যান্সের পর আমার আত্মার সঙ্গী, আমার প্রিয় বন্ধু, আমার পরিবারের সঙ্গে বিয়ে হল আমার। এর থেকে খুশির দিন মনে হয় জীবনে আর কিছু হয় না। আজ থেকে আমি তোমার স্বামী পত্রলেখা, সারা জীবনের জন্য…তার পরেও।” ওই একই ছবি শেয়ার করেছেন পত্রলেখাও। মন্তব্য বাক্স ভেসেছে শুভেচ্ছার জোয়ারে। তবে এ সবের মধ্যেই এই মুহূর্তে টক অব দ্য টাউন পত্রলেখার মাথার ওড়না। নেটিজেনরা মজা করে লিখেছেন, “আজ থেকে রাজকুমার অফিসিয়ালি বাংলার জামাইবাবু”।
রাজকুমারকে অনস্ক্রিনেই প্রথম দেখেন পত্রলেখা। ‘এলএসডি’ ছবিতে। নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রাজকুমার। পত্রলেখা ভেবেছিলেন, ব্যক্তিগত জীবনেও হয়তো সেরকমই একজন মানুষ রাজকুমার। কিন্তু তেমনটা যে একেবারেই নয়, পরে বুঝতে পেরেছিলেন পত্রলেখা।
আর রাজকুমার তাঁকে প্রথম কোথায় দেখেছিলেন? পত্রলেখা জানান, এক বিজ্ঞাপনে তাঁকে প্রথম দেখেন রাজকুমার। রাজকুমার নাকি প্রথমবার দেখেই পত্রলেখাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন, এমনটাই জানিয়েছেন পত্রলেখা। সেই প্রেম পর্বই গড়াল বিয়েতে, নতুন জামাইবাবু পেল আপামর বাঙালি।