বলিউডের সাম্প্রতিক অতীতে হিটের সংখ্যা নেহাতই হাতেগোনা। কেন এই ব্যর্থতা? এ প্রশ্নে যখন চারিদিক উত্তাল তখন মুখ খুললেন ‘কোই মিল গ্যায়া’, ‘কহোনা প্যায়ার হ্যায়’-এর মতো হিট ছবির পরিচালক রাকেশ রোশন। তাঁর সোজাসাপটা কথা, বলিউডে এখন ছবির গানকে গুরুত্বই দেওয়া হয় না। আর সে কারণেই সুপারস্টার হওয়া এখন রীতিমতো অসুবিধেজনক হয়ে উঠেছে।
রাকেশের নিজের ছবিগুলিতে গানের ব্যবহার ছিল এক উল্লেখযোগ্য অধ্যায়। তাঁর সাফ কথা বলিউডে দক্ষিণী ছবির থেকে শেখা উচিত। উদাহরণ হিসেবে তিনি তুলে ধরেছেন মাস কয়েক আগে মুক্তি পাওয়া রাজামৌলীর ছবি ‘আরআরআর’-এর কথা। ওই ছবি হিট হওয়ার পাশাপাশি ছবির গানও হয়েছিল বিপুল হিট। শুধু আরআরআর-ই বা কেন উদাহরণ হিসেবে রয়েছে আল্লু অর্জুনের পুষ্পা ছবিও। রাকেশ যোগ করেন, এখনকার দিনে পরিচালকেরা আজকাল আধুনিক ছবি বানাতে গিয়ে এমন ছবি বানাচ্ছেন যার সঙ্গে দর্শকের মাত্র ১ শতাংশ মিল খুঁজে পাচ্ছেন।
তাঁর কথায়, “এমন ছবি বানানো হচ্ছে যা শুধু পরিচালক ও তাঁর বন্ধুরাই দেখতে পছন্দ করেন। এমন সব টপিক বেছে নেওয়া হচ্ছে যা দর্শকের একটা বড় অংশের কাছে কোনও প্রভাবই ফেলছে না। আগে ছবিতে ছয়টি করে গান থাকত। আর ওই সব গানগুলিই মূলত একজন অভিনেতাকে সুপারস্টার বানাত। রাজেশ খান্না অথবা অমিতাভ বচ্চনের গানগুলি যদি ধরে নেওয়া যায় ছবিতে কিন্তু সেগুলির উল্লেখজঘ ভূমিকা ছিল। প্রতিটি গানই প্রায় ছিল সুপারহিট। আমাদের সেখান থেকে শেখা উচিত। ”
এখনকার দিনে ছবি মুক্তির আগে প্রচারপর্ব ভীষণই জরুরি। স্টারের এখন বিভিন্ন শহরে ঘুরে ঘুরে প্রচার করেন তাঁদের ছবির। আলিয়া ভাট অন্তঃসত্ত্বা। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে তাঁর ছবি। এমতাবস্থাতেও আলিয়া কিন্তু বাড়িতে বসে বিশ্রাম নেননি। বরং কখনও তাঁকে দেখা গিয়েছে হায়দরাবাদে আবার কখনও বা তিনি পৌঁছে গিয়েছেন আইআইটি বম্বেতে। তবে রাকেশের সোজাসুজি বক্তব্য, কোনও ছবির ট্রেলার যদি না চলে সেক্ষেত্রে এই সব প্রচারমূলক ট্যুর আদপে পয়সা নষ্ট ছাড়া কিছুই নয়। ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকগুলো বছর কাটিয়ে দিয়েছেন হৃতিক রোশনের বাবা। তাঁর এই উপদেশ বলিউড শুনবে কি, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।