Randhir Kapoor: ৭৬-এ এসে নতুন করে সংসার পাতলেন করিনার বাবা

TV9 Bangla Digital | Edited By: বিহঙ্গী বিশ্বাস

Mar 07, 2023 | 11:57 PM

Randhir Kapoor: উইকিপিডিয়া বলছে বয়স ৭৬ বছর। কিন্তু প্রেম কি আর পুরনো হয়? ৭৬-এ এসেই নতুন করে সংসার পাতলেন করিনা কাপুরের বাবা রণধীর কাপুর।

Randhir Kapoor: ৭৬-এ এসে নতুন করে সংসার পাতলেন করিনার বাবা
বাবার সঙ্গে করিনা।

Follow Us

 

 

উইকিপিডিয়া বলছে বয়স ৭৬ বছর। কিন্তু প্রেম কি আর পুরনো হয়? ৭৬-এ এসেই নতুন করে সংসার পাতলেন করিনা কাপুরের বাবা রণধীর কাপুর। ভাবছেন তো পাত্রী কে? কথায় বলে না ‘পুরনো চাল ভাতে বাড়ে’– আর পুরনো প্রেমও যেন অনেকটা সে রকমই। স্ত্রী ববিতার সঙ্গে ভেঙে যাওয়া সংসার আবারও জোড়া লাগল তাঁর। ৮০’র দশকে মতের নানা অমিলের জন্য আলাদা থাকতে শুরু করেন তাঁরা। দুই মেয়ে করিনা কাপুর ও করিশ্মা কাপুরকে নিয়ে কাপুর খানদান ছেড়ে কাছেই এক অ্যাপার্টমেন্টে চলে আসেন ববিতা। তারপর বহু বছর কেটেছে। দুই মেয়ের প্রতিষ্ঠিত। ববিতারও বয়স এখন ৭৫ বছর। তাই জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আর আলাদা নয়, আবারও কাছাকাছি থাকারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এই মুহূর্তে বান্দ্রায় নতুন ফ্ল্যাটে থাকেন রণধীর। এর আগে তিনি থাকতেন চেম্বুরে তাঁর পারিবারিক ভিটেতে। তবে সেই বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার পরেই নাকি রণধীরের কাছে ফিরে এসেছেন ববিতা। গত সাত মাস ধরে দুজনে আবার পেতেছেন সুখের সংসার।

কেন আলাদা হন রণধীর-ববিতা?

বাবা-মায়ের ইচ্ছেতেই সত্তরের দশকে ববিতাকে বিয়ে করেন রণধীর কাপুর। যদিও তাঁর বিয়ে করার খুব একটা ইচ্ছে ছিল না। বিয়ের পর সবকিছু ঠিকই চলছিল। কিন্তু ৮০ সালের পর থেকেই আচমকাই কেরিয়ারে ভরাডুবি শুরু হয় রণধীর কাপুরের। মদ্যপানের নেশা ধরেন রণধীর। ওদিকে কাপুর পরিবারের নিয়মানুসারে ববিতাও ততদিনে নিজের কেরিয়ার জলাঞ্জলি দিয়েছেন। পরবর্তীতে রণধীর নিজেই জানিয়েছেন তাঁর অতিরিক্ত মদ্যপানই তাঁর সঙ্গে ববিতার সম্পর্ক খারাপ করে তোলে। আলাদা থাকতে শুরু করেন ববিতা। যদিও বিচ্ছেদ হয়নি তাঁদের। এমনকি কাপুর পরিবারের যাবতীয় সমস্যার এগিয়ে গিয়েছেন ববিতা। ২০০৭ সালে শোনা গিয়েছিল, তাঁরা নাকি আবারও একসঙ্গে থাকতে শুরু করবেন। কিন্তু তা হয়নি। অতঃপর নিরন্তর অপেক্ষা…

তোর টিমে, তোর পাশে…

তবে তাঁদের পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, আর নয় বিরহবেদনা, আবারও একসঙ্গে সংসার করছেন তাঁরা। তাঁদের এই সিদ্ধান্তে পাশে পেয়েছেন দুই মেয়েকেও। করিশ্মা-করিনাও বেজায় খুশি। আগামী দিনগুলিতে বাবা-মা একসঙ্গে থাকুন, এমনটাই চাইছেন তাঁরা।

 

 

Next Article