রূপঙ্কর বাগচীর একটি মন্তব্য নিয়ে সারা বাংলা তোলপাড়। কেউ পক্ষে আবার বেশিরভাগই তাঁকে দিয়েছেন বয়কটের ডাক। এমতাবস্থায় চরম নিন্দনীয় আক্রমণের শিকার গায়কের পরিবার। রূপঙ্করের বয়স্কা মা সুমিত্রা বাগচীকে দেওয়া হল ধর্ষণের হুমকি। পলাশ মাইতি নামক জনৈক ফেসবুক ব্যবহারকারীর প্রোফাইল থেকে এক পোস্টে লেখা হয়েছে, “আমার ভগবানের কাছে একটাই প্রার্থনা, রূপঙ্কর বাগচীর মা’কে যেন ধর্ষণ করা হয়”।
পোস্টদাতার ওই পোস্টের স্ক্রিনশট এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। রূপঙ্করের বক্তব্যকে সমর্থন না করলেও ওই পোস্টের চরম নিন্দায় নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। গায়কের মন্তব্যের জেরে কীভাবে তাঁর প্রৌঢ়া মা’কে এ হেন কল্পনাতীত কুৎসিত হুমকি দেওয়া যেতে পারে তা নিয়েই সোচ্চার তাঁর।
প্রসঙ্গত, রূপঙ্করযে বিগত কয়েকদিন ধরে প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন সে কথা আগেই জানিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। জানিয়েছিলেন প্রশাসনিক সাহায্য চাইবেন তাঁরা। টিভিনাইন বাংলার কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মেয়ের সুরক্ষা নিয়েও। তিনি বলেছিলেন, “আমরা আসলে খুবই চিন্তায় আমাদের মেয়েকে নিয়ে। ওর এবার বোর্ডস পরীক্ষা। আমাদের চিন্তায় দেখে ও খুবই অস্থির। সময়টা ভাল নয়।” জানিয়েছিলেন বাড়ির সামনে টালা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কার্যত অস্বস্তিতে গোটা পরিবার।
কেকে’কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন রূপঙ্কর। এর পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে ক্ষমাও চান তিনি। পাঠ করেন এক বিবৃতি। যদিও সাংবাদিকদের তরফে কোনও প্রশ্ন শুনতে চাননি তিনি। বিবৃতিতে রূপঙ্কর লেখেন, ” “প্রথমেই প্রয়াত কেকের পরিবারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমার যে ভিডিয়োটি গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়া ও তাঁর বাইরে এত বিরামহীন উত্তেজনার উপাদান হয়েছে, এখানে এক্ষুনি পৌঁছানোর আগে আমি ফেসবুক থেকে ডিলিট করলাম। পরলোকগত গায়কের পরিবারের কারওর সঙ্গে আমার পরিচয় নেই। কিন্তু আপনাদের মাধ্যমেই বারবার জানাচ্ছি, আমি দুঃখিত। কেকে আজ যেখানেই থাকুন, ঈশ্বর যেন ওকে শান্তিতে রাখেন। ” জানিয়েছিলেন ‘সঙ্গীত জীবনে বিভীষিকার মুখোমুখি’ হওয়ার কথাও। রূপঙ্করের প্রতি ক্ষোভ, ঘৃণা, অভিমান জন্মালেও তাঁর পরিবারের প্রতি এ হেন হুমকি কতটা সঙ্গত? সে প্রশ্নই এখন চর্চায়।