বাবা মনসুর আলি খান পাতৌদি, তথা ‘টাইগার’ পতৌদির মৃত্যুর পর তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকারী হয়েছেন সইফ আলি খান। তিনি বলিউডের ছোটে নবাব। প্রায় ৫,০০০ কোটি টাকার মালিক তিনি, যার সমস্তটাই তিনি পেয়েছেন উত্তরাধিকার সূত্রে। টাইগার পতৌদি এবং শর্মিলা ঠাকুরের একমাত্র পুত্র সইফ-ই পতৌদি পরিবারের শেষ নবাব, বাবা-মায়ের একমাত্র পুত্রসন্তান এবং নবাবদের একমাত্র উত্তরাধিকারী। তাঁর দুই বোন সাবা এবং সোহা সম্পত্তির কানাকড়িও পাননি। কিন্তু সইফের পর সেই সম্পত্তি পাবেন না তাঁর ছেলেমেয়েরা। চমকে দেওয়ার মতো তথ্য, তাই না?
সম্প্রতি ভাগ-বাটোয়ারা হচ্ছে বচ্চন পরিবারের সম্পত্তি। বচ্চনদের হাজার-হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ভাগ হচ্ছে বর্তমান প্রজন্মের দুই বচ্চন– অভিষেক এবং শ্বেতার মধ্যে (অমিতাভ বচ্চন এবং জয়া বচ্চনদের দুই সন্তান)। এই ভাগ বাটোয়ারার ঘটনা সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম দখল করে নিয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু তাঁদের চেয়েও ধনী এই নবাব (পতৌদি) পরিবারের সম্পত্তির কিছুই পাবে না সইফের চার ছেলেমেয়ে।
সইফের প্রথম পক্ষের স্ত্রী অভিনেত্রী অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে রয়েছে তাঁর দুই সন্তান–ইব্রাহিম আলি খান এবং সারা আলি খান। অমৃতার সঙ্গে সইফের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটেছে আগেই। ছোটে নবাবের দ্বিতীয় স্ত্রী কাপুর-শেহজ়াদি অভিনেত্রী করিনা কাপুর খান। তাঁদেরও দুই সন্তান–তৈমুর আলি খান এবং জেহ আলি খান। এই চার ছেলেমেয়ে পতৌদি পরিবারের কোনও সম্পত্তির উপরই নিজেদের অধিকার ফলাতে পারবে না ভবিষ্যতে।
সইফ আলি খান এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “বলিউডে অভিনয় করে এই বিরাট সাদা হাতির মতো সম্পত্তি তিনি রক্ষা করতে পারছেন না।” ১৯৬১ সালের এক আইনের অধীনে চলে গিয়েছে পতৌদিদের সম্পত্তি। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, পতৌদি এবং ভোপাল প্রাসাদের মতো জাতীয় সম্পত্তির উপর অধিকার দাবী করতে পারবেন না কেউ এবং সেগুলির উত্তরাধিকারীও হতে পারবেন না। পতৌদি প্যালেসের ভিতরে থাকা বিলাশবহুল সম্পদ এবং অনেককিছুই এই আইনের আওতায় পড়ে। সেই কারণেই সইফের চার সন্তান–সারা, ইব্রাহিম, তৈমুর এবং জেহ সম্পত্তির কানাকড়িও পাবে না পরবর্তীকালে। জানা যায়, সইফের ঠাকুরদা হামিদুল্লাহ খান ব্রিটিশ শাসনকালে এই বিপুল সম্পত্তির কোনও উইল করতে পারেননি। ফলে হাজার-হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি নিজেদের নামে করতে পারেননি সইফ এবং তাঁর পরবর্তী প্রজন্ম।