Nirmala Mishra Death: আনন্দে ‘সিটি’ দিতেন পিসি, ভালবাসতেন লাল রং: স্মৃতিচারণায় সৈকত মিত্র

Tollywood: শিল্পীর সঙ্গে পারিবারিক আলাপ ছিল সঙ্গীতশিল্পী শ্যামল মিত্রের পরিবারের। টিভিনাইন বাংলার কাছে নির্মলাকে নিয়ে স্মৃতির ঝুলি উজাড় করলেন শ্যামল-পুত্র সৈকত মিত্র।

Nirmala Mishra Death: আনন্দে সিটি দিতেন পিসি, ভালবাসতেন লাল রং: স্মৃতিচারণায় সৈকত মিত্র
নির্মলাকে নিয়ে স্মৃতির ঝুলি উজাড় করলেন শ্যামল-পুত্র সৈকত মিত্র।

| Edited By: বিহঙ্গী বিশ্বাস

Jul 31, 2022 | 1:36 PM

শনিবারের রাত। ঘড়ির কাঁটায় ১২টা বেজে দশ মিনিট। সঙ্গীতের এক অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। চলে গিয়েছেন নির্মলা মিশ্র। বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। দীর্ঘ দিন রোগভোগ আর হার্টঅ্যাটাক… তারপরেই সব শেষ। শিল্পীর সঙ্গে পারিবারিক আলাপ ছিল সঙ্গীতশিল্পী শ্যামল মিত্রের পরিবারের। টিভিনাইন বাংলার কাছে নির্মলাকে নিয়ে স্মৃতির ঝুলি উজাড় করলেন শ্যামল-পুত্র সৈকত মিত্র।

 

 

 

“সবার কাছে তিনি নির্মলা মিশ্র। আমার কাছে ছিলেন শুধুই পিসি। আমায় ডাকতে ছেলে বলে। অসম্ভব ভালবাসতেন। আমাদের আলাপটা আসলে বহুদিনের। সেই কোন ছোটবেলা থেকে আমায় চিনতেন পিসি। তাঁর সঙ্গীত জীবন নিয়ে বলার মতো যোগ্যতা নেই। আত্মিক সম্পর্ক ছিল বরাবরই। বরাবরই মারাত্মক প্রাণবন্ত, হাসিখুশি। কিছু ভাল লাগলে সে প্রকাশও ছিল দারুণ মজার। পছন্দের জিনিসে কোনও মহিলাকে সিটি দিতে আমি সেভাবে দেখিনি অথচ পিসিকে দেখেছি। সেই মানুষটাই গত সাত বছর ধরে বিছানায়। এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়লেন যে চোখে দেখা যেত না। বিছানার সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন একেবারেই।

পিসির অনেক আবদার থাকত আমাদের কাছে। একবার আমার স্ত্রীর একটা শাড়ি দেখে বলে বসলেন এমন একটাই শাড়িই চাই। তার জন্য খোঁজ খোঁজ। খোঁজ মিলতেই তিনি কী খুশি। লাল রঙ ছিল বড় পছন্দের। লাল নেলপলিশ, লাল লিপস্টিক ছিল খুব প্রিয়। বাইরে থেকে এলেই জিজ্ঞাসা করতেন, কী এনেছিস রে আমার জন্য? পিসি ছিলেন নীলকণ্ঠ। দেখা হলেই হাত বাড়িয়ে বলতেন, “সবার যত খারাপ আমি নিলাম”। মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেন। এরকম একজন মানুষ এতটা অসুস্থ হয়ে পড়লেন, এত কষ্ট পেলেন… এটা কাম্য ছিল না। আমার সঙ্গে শেষ দেখা প্রায় ছ’সাত মাস আগে। তখন উনি কথা বলতে চাইতেন না। কাঁদতেন, শুধুই কাঁদতেন। ভাল থেকো পিসি। শান্তিতে থেকো।”