সামান্থা প্রভু রাউথ, যাঁর অভিনয় দাপটই যথেষ্ট ভক্তদের মন জয় করার জন্য। তবে একদিকে যখন ঝড়ের গতিতে এগোচ্ছে কেরিয়ার, ঠিক তখনই ব্যক্তিজীবনেও ঝড়ে বয়ে যায় তাঁরা। বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও কোনওদিন মাথা নত করতে রাজি ছিলেন না সামান্থা। শোনা যাচ্ছে বিচ্ছেদের পর ভরণপোষনের জন্য সামান্থাকে ২০০ কোটি টাকা দিতে চেয়েছিলেন নাগা এবং তাঁর পরিবার। কিন্তু সামান্থা নাকি কোনও টাকা নিতে রাজি হননি। সূত্রের খবর, এই বিয়ে ভাঙা সামান্থার কাছে হৃদয় বিদারক। অভিনেত্রী অত্যন্ত অস্বস্তিতে ছিলেন। সামান্থা অতীতে জানিয়েছিলেন, এই সম্পর্ক থেকে শুধুমাত্র ভালবাসা চেয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া আর কিছুই নয়।
২০১০-এ একসঙ্গে ‘ইয়ে মায়া চেসভ’-এ কাজ করতে গিয়ে একে অপরের প্রেমে পড়েন সামান্থা এবং নাগা। ২০১৭-র জানুয়ারিতে তাঁদের এনগেজমেন্ট হয়। ওই বছরই অক্টোবরে গোয়াতে বিয়ে করেন তাঁরা। তাঁদের বিচ্ছেদে মন ভেঙেছিল বহু অনুরাগীর। তবে বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে খুব একটা মুখ না খুললেও এবার তা নিয়েই সরব সামান্থা।
মিস মালিনির সাক্ষাৎকারে সামান্থা বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে খোলামেলা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ”আমি কিছুই লুকোতে চাই না। যখন আমার কাছে ও অন্টাভা-র (পুষ্পা আইটেম ডান্স) অফার আসে, তখন আমি বিবাহ বিচ্ছেদের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। যখন এই আইটেমডান্সের ঘোষণা সামনে এল, প্রত্যেক পরিবারের সদস্যরা, শুভাকাঙ্খিরা আমায় জানিয়েছিলেন, বাড়িতে বসে থাকো। তুমি কোনও আইটেম ডান্স করতে পার না, যখন তুমি বিবাহ বিচ্ছেদ ঘোষণা করছ। এমন কী আমার বন্ধু, যে সব সময় আমায় উৎসাহ দিয়ে এসেছে, সেও এসে আমায় চ্যালেঞ্চ করে, জানায় করবে না। কিন্তু আমি বলেছিলাম, আমি করছি।”
এখানেই শেষ নয়, সামান্থা আরও বলে চলেন, কেন করব না? সামান্থা বলেছিলেন, ”এখানে লুকিয়ে থাকার কি আছে? আমি তো ট্রোলিং-এর অপেক্ষায় বসে নেই। আমি আমার বৈবাহিক সম্পর্কে ১০০ শতাংশ দিয়েছি, তাও তা টেকেনি, ফলে আমি আমাকে এভাবে শাস্তি দিতে পারব না। আমি তো কিছু করিনি।”