
চলছে অস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এবার ভারত থেকে ছিল তিন তিনটে মনোনয়ন। ‘সেরা অরিজিনাল সং’-এই বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে ‘আরআরআর’ ছবির নাটু নাটু গানটি। এখানেই শেষ নয়, বাংলার ছেলে শৌনক সেনের ‘অল দ্যাট ব্রিদস’ পেয়েছিল সেরা তথ্যচিত্র ফিচার বিভাগে মনোনয়ন। তবে সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, জেতা হল আন শৌনকের। ৯৫ তম অ্যাকাদেমি অ্যাওয়ার্ডে তিনি হেরে গেলেন ‘নাভালনি’র কাছে। ওই বিভাগে আরও মনোনীত ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে ‘অল দ্যাট বিউটি অ্যান্ড দ্য ব্লাডশেড’, ‘ফায়ার অব লাভ’, ‘এ হাউজ মেড অব স্প্লিনটারস’। গত বছরও ওই একই বিভাগে রিন্টু থমাস ও সুস্মিত ঘোষের ‘ফায়ার’ মনোনীত হলেও জিততে পারেনি।
দুই মুসলিম ভাইয়ের গল্প বলে এই তথ্যচিত্র। যারা এক বিলুপ্ত পাখির প্রজাতিকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে ওঠে, সেই পাখি হল কালো চিল, পরিবেশ দূষণের জন্য যারা ক্রমশ মারা যাচ্ছে। সমালোচকদের মতে, এই ছবি যেন, “দৃঢ়তার প্রতি একটি কাব্যিক শ্রদ্ধাঞ্জলি”। এর আগে অস্কারে মনোনীত হলে টিভিনাইন বাংলাকে শৌনক বলেন, “‘আমরা আনন্দিত, স্বস্তি, অবাক, বিশ্বাস-অবিশ্বাস জড়িয়ে এক মিশ্র অনুভূতি।’ শৌনকের কথায়, ‘আমি এখন আমেরিকায় আছি। এখানের সময় অনুযায়ী সকাল সাড়ে ছটায় ঘোষণা হয়েছিল। আমরা কেউ-ই রাত্রে ঘুমতে পাড়িনি। যখন ঘোষণা শুনলাম তারপর সত্যি খুব খুশি আমরা। যদিও এখনও অনেকটা পথ যেতে হবে। আমার কেরিয়ারে ভারতের যে যে ছবির সব থেকে বেশি প্রভাব রয়েছে, নিঃসন্দেহে তার মধ্যে অন্যতম বাংলা। ছোটবেলা থেকে আমার মা-বাবা সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটকের ছবি দেখিয়েছেন। এনারা ছাড়াও কলকাতায় তথ্যচিত্র নিয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান হয়, ‘ডকএজ’, অনেক ছবি ওখানে গিয়ে জায়গা করে নেয়। এমন কি আমার তথ্যচিত্রের ট্রেনিং, যা-যা শিখেছি, অনেকটাই ওখান থেকেই পাওয়া। এর জন্য আমি ধন্যবাদ জানাব। কলকাতায় অনেক অভিজ্ঞ তথ্যচিত্র নির্মাতারাও রয়েছেন, যাঁদের থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি।’
অস্কার জিততে পারেননি শৌনক, তবে তাতে অবশ্য মন খারাপ নয় নেটিজেনদের। এর আগে তিনি কান জিতেছেন, জিতেছেন আরও নানা পুরস্কার। বাংলার ছেলেকে নিয়ে গর্বই করছে বাঙালিরা।