দেখতে দেখতে এক বছর। এক বছর মাতৃত্বের। এক বছর ছেলে দেবয়ানের। মা শ্রেয়া ঘোষাল আজ আবেগঘন। সোশ্যাল মিডিয়ায় উড়িয়ে দিলেন ছেলেকে নিয়ে লেখা এক খোলাচিঠি। যে চিঠির প্রতিটি শব্দে জড়িয়ে আদর। ছুঁয়ে রয়েছে ভালবাসা। ছেলে যে তাঁর কাছে কতটা, ওই চিঠির মাধ্যমেই প্রতিফলিত হয়েছে প্রতিটি ছত্রে।
বর ও ছেলের সঙ্গে এক মিষ্টি ছবি শেয়ার করে শ্রেয়া লিখেছেন, “প্রিয় দেবয়ান বা নিরবু (ডাকনাম)— বাবা-মা হিসেবে আমাদের এই দিনেই জন্ম দিয়েছ তুমি। আমাদের বুঝিয়েছ এই জগৎ কতটা ভালবাসায় মাখা। এই পৃথিবী যেন তোমায় ভালবাসায় ভরিয়ে দেয়। একজন নম্র, সৎ, সংবেদনশীল ও ভাল মনের মানুষ যেন তুমি হয়ে ওঠো।” বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন শ্রেয়া। ছবিগুলি আঁকড়ে রয়েছে একগুচ্ছ সতেজ বাতাস। গোটা পরিবারের হাসিমুখ। ছোট্ট নিরবু কখনও হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছে বাবার গায়ে আবার কখনও উঠতে যাচ্ছে মায়ের কোলে। ভক্তরাও আজ খুশি। সুখী পরিবারের সংজ্ঞা বোধহয় এটিই– বলছেন তাঁরা।
শ্রেয়া বরাবরই প্রাইভেট পার্সন। শিলাদিত্যর সঙ্গে দীর্ঘ বন্ধুত্বের খবর তাঁর প্রিয়জনের বাইরে খুব একটা কেউ জানতেন না। বাঙালি মতে বিয়ে করেছিলেন এই জুটি। সেই অনুষ্ঠানেও ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং আত্মীয়দের নিমন্ত্রণ ছিল। বিয়ে করার খবরও সোশ্যাল ওয়ালেই শেয়ার করেছিলেন শ্রেয়া। একই ভাবে মা হওয়ার খবরও। পুত্রের জন্মের পর তার নামের বানান নিয়ে বেশ বিভ্রান্তি শুরু হয় সোশ্যাল মহলে। হিন্দি কিংবা ইংরেজি ভাষায় বানান নিয়ে সমস্যা না হলেও বাংলায় কী হতে পারে শ্রেয়ার ছেলের নামের বানান, তা নিয়ে বেশ ধন্দে পড়ে যান এক অনুরাগী। টুইট করে লেখেন, ‘বাংলায় নামের উচ্চারণ কেউ বলতে পারছে না।’ সঙ্গে জুড়ে দেন দেবয়ান নামটির চার রকম বানান— ১. দেবায়ন ২. দেবযান ৩. দেবয়ান ৪. দেব্যান। সমস্যার নিষ্পত্তি করেন স্বয়ং মা শ্রেয়া। টুইটটিকে রিটুইট করে তিনি লেখেন, ‘আমার প্রিয় সমস্ত বাঙালি অনুরাগীদের বলছি, বাংলায় Devyaan-এর নামের সঠিক বানান – দেবয়ান।’ ছেলেকে নিয়ে ইদানিং কাটে তাঁর ব্যস্ততার মধ্যেই। তবে এরই মধ্যে রয়েছে কর্মজীবন। তাতে অবশ্য সময় কাটানোতে খামতি হয় না মায়ের। দেখতে দেখতে এক। বড় হচ্ছে নিরবু। পাশে রয়েছেন বাবা-মা।