Sidhu Moose Wala: মায়ের বুকফাটা কান্না, বাবার স্যালুট, সিধুর শেষকৃত্যে হাজির কাতারে কাতারে ভক্ত

Sidhu Moose Wala: রবিবার বিকেলেই পঞ্জাবের মানসা জেলার একটি গ্রামে সিধুর গাড়িকে ঘিরে ফেলে অজ্ঞাতপরিচয় কিছু দুষ্কৃতী।

Sidhu Moose Wala: মায়ের বুকফাটা কান্না, বাবার স্যালুট, সিধুর শেষকৃত্যে হাজির কাতারে কাতারে ভক্ত
মায়ের বুকফাটা কান্না, বাবার স্যালুট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 31, 2022 | 10:54 PM

চলে গিয়েছেন তিনি। হঠাৎই… খালি হয়েছে মায়ের কোল। বাবার চোখে জল। ভক্তরাও যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না। পঞ্জাবের মুসায় মঙ্গলবার হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হল কংগ্রেস নেতা তথা পঞ্জাবী গায়ক সিধু মুসেওয়ালার। ইতিমধ্যেই সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এরই মধ্যে একটি ছবি দেখলে চোখের জল ধরে রাখতে পারবেন না আপনিও।

কাচের বাক্সে চিরনিদ্রায় ছেলে। বাক্স জড়িয়ে বাবা-মা। মা ছুঁতে চাইছেন কিন্তু পারছেন না। ক্লান্ত মাথা কাচের উপর রেখে চোখের জলও কখন যেন শুকিয়ে গিয়েছে। বাবা কাঁদছেন। শাড়ির আঁচল দিয়ে মা মুছিয়ে দিচ্ছেন তাঁর চোখ। ট্র্যাকটর ভালবাসতেন সিধু। বহু গানে দেখা গিয়েছিল তাঁর প্রিয় বাহনের উপস্থিতি। বিদেশে পড়াশোনা করেও মাটির কাছাকাছি– গানেও দিতে চাইতেন সেই বার্তা। এ দিন সেই ট্র্যাক্টরে চেপেই অন্তিম যাত্রায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পিছনে তখন কাতারে কাতারে ভক্ত। সবাই বিচার চাইছেন এই ২৮ বছর বয়সী গায়কের হয়ে। বাবা করলেন স্যালুট। উঠল কান্নার রোল। হাজির ছিলেন পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজা ওয়ারিংও। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল গায়কের কাট আউট। চলে গেলেন তিনি। আর শোনা যাবে না তাঁর দরাজ কণ্ঠ। যে কণ্ঠ ভক্তদের বড়ই কাছের, বড়ই প্রিয়।

সিধুর শেষকৃত্যে হাজির কাতারে কাতারে ভক্ত

রবিবার বিকেলেই পঞ্জাবের মানসা জেলার একটি গ্রামে সিধুর গাড়িকে ঘিরে ফেলে অজ্ঞাতপরিচয় কিছু দুষ্কৃতী। একের পর এক গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় ওই গায়ককে। ইতিমধ্যেই সিধুকে হত্যার দায়স্বীকার করে নিয়েছে কানাডার গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার। ওই গ্যাংস্টার নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন যে, পঞ্জাবে তাঁর ঘনিষ্ঠ গুন্ডারাই সিধু মুসেওয়ালাকে গুলি করেছে। রবিবার পঞ্জাব পুলিশের প্রধান জানান, বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ সিধু বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন, তার এক ঘণ্টা বাদেই আততায়ীরা হামলা করে। কমপক্ষে ৩০টি গুলি চালানো হয়েছিল সিধু মুসেওয়ালার উপরে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।

এত দিন সিধুর নিরাপত্তার জন্য চারটি কম্যান্ডো থাকলেও, শনিবারই পঞ্জাব সরকারের তরফে দুইজন নিরাপত্তারক্ষীকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দুইজন কম্যান্ডো থাকলেও, সিধু নিজেই ওই দুইজনকে সঙ্গে যেতে বারণ করেছিলেন। একইসঙ্গে তিনি বুলেটপ্রুফ গাড়িটিও সঙ্গে নেননি। আততায়ীরা কীভাবে এই তথ্যগুলি জানতে পেরেছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।