Kabir Suman: যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কুরুচিকর পোস্ট কবীর সুমনের, প্রতিবাদের ঝড় বাংলার শিল্পীমহলে
Kabir Suman: শুক্রবার এক 'কবিতা' পোস্ট করেছিলেন কবীর সুমন। তাঁর ওই তথাকথিত কবিতায় প্রোটাগনিস্ট হিসেবে যে নামটি তিনি লিখেছেন, সেই নামের সঙ্গে অনেকটা মিল রয়েছে এ যুগের জনপ্রিয় এক কবির স্ত্রীর।
আবারও বিতর্কের কেন্দ্রে গায়ক কবীর সুমন। নেপথ্যে তাঁর এক কুরুচিকর-যৌনইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট। যা এই মুহূর্তে তাঁর প্রোফাইলে না থাকলেও ইতিমধ্যেই নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। সুমনের ওই পোস্টে কার্যত হতবাক বাংলার শিল্পীমহলের একটা বড় অংশ। ফেসবুক থেকে ইনস্টা– চলছে প্রতিবাদের ঝড়। সৃজিত মুখোপাধ্যায় থেকে রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়– একজোটে গায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সকলে। কবীর ভক্তদেরও অনুতাপ— ‘এই তোমাকে চাই না’।
শুক্রবার এক ‘কবিতা’ পোস্ট করেছিলেন কবীর সুমন। তাঁর ওই তথাকথিত কবিতায় প্রোটাগনিস্ট হিসেবে যে নামটি তিনি লিখেছেন, সেই নামের সঙ্গে অনেকটা মিল রয়েছে এ যুগের জনপ্রিয় এক কবির স্ত্রীর। প্রসঙ্গত, সেই কবির সঙ্গেই দিন কয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাকবিতন্ডায় জড়িয়েছিলেন সুমন। এক সাংবাদিককে কুরুচিকর ভাষায় কথা বলার জন্য সেই কবি প্রতিবাদ করেন সুমনের বিরুদ্ধে। পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যক্তি আক্রমণ করেন কবীর সুমন। কিন্তু ঘটনার ইতি এখানেই নয়। ইতিপূর্বেও সেই কবির স্ত্রীর নাম নিয়ে প্রকাশ্যে ‘… তুমি কী অপূর্বা’ লিখেছিলেন সুমন। তবে গতকালের ঘটনা যেন ছাপিয়ে গিয়েছে সবকিছু। স্তম্ভিত তাঁর অতিবড় ভক্তরাও।
নেটিজেনদের বক্তব্য, “যৌনাঙ্গের আকার, হস্তমৈথুন, শিৎকার– সুমনের পোস্ট জুড়েই পরিলক্ষিত হয়েছে এক বিকৃতকাম মানসিকতা”। চুপ করে থাকেনি বাংলার শিল্পীমহলও। রাহুল যেমন লিখেছেন, “মানুষ হওয়া ছেড়েছ তো কয়েক বছর আগে, তোমার কি জন্তু হতে এতো ভালো লাগে?” রাহুলের ওই পোস্টে সমর্থন করেছেন রুপসা দাশগুপ্ত, জয়দীপ কুন্ডু সহ অনেকেই। প্রতিবাদ করেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও। তিনি লিখেছেন, “মাফিয়ারাও অন্তত পরিবারকে রেহাই দেয়। আমি অবাক। ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।” তাঁর আরও বক্তব্য, “প্রত্যেকবার একটা করে গান মারা যায়। … লাশকাটা ঘরে ডোমেরা ট্রেতে তোলে একলা হতে চাইছে আকাশকে। অথবা ইলেকট্রিক চুল্লিতে ঝলসে যায় তোমাকে চাইয়ের রক্তমাংস”। নাম না নিয়েই জয় সরকার আখ্যা দিয়েছেন ‘নিকৃষ্টতম’।
অন্যদিকে অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী আবার অন্যভাবে ব্যাখ্যা করেছেন সুমনের এই আচরণকে। তাঁর মতে, বয়স্কালে ‘ সেন্স অব জাজমেন্ট’ চলে যাওয়ার কারণেই প্রকাশ্যে এ হেন আচরণ তিনি শুরু করেছেন। তিনি লিখেছেন, “… সঠিক চিকিৎসা জরুরী। কাছের মানুষদের পাশে থাকা জরুরী। তাঁকে পাবলিক লাইফ থেকে দূরে রাখাই বাঞ্ছনীয়। তাঁকে যথাযোগ্য মেডিকেশন দেওয়া জরুরী।” এক কমেন্টেও তিনি লেখেন, “পিতৃতন্ত্র তাঁর মধ্যে প্রথম দিন থেকেই ছিল। লোক সম্মুখে তা দেখানো হয়নি। হয়তো খুব কাছের মানুষদের মধ্যেই এতদিন সীমাবদ্ধ ছিল। যেহেতু এখন তাঁর জাজমেন্টের অনুভূতি বিলুপ্ত হচ্ছে তাই মনও তাঁর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তা জনগণের কাছে উন্মুক্ত করে দিচ্ছে।” পক্ষে-বিপক্ষে চলছে নানা যুক্তি। তবে নেটিজেনদের মনে উঠে আসছে একটাই প্রশ্ন, “প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার এ হেন কদর্যরূপ? বিপদকালে বুদ্ধিনাশ?” উত্তর অজানা।
আরও পড়ুন- হিন্দি ‘আধিপত্যে’ হল হারাচ্ছে বাংলা ছবি? কী বলছেন পরিচালক থেকে হল মালিকেরা