হাতে মাত্র একটা দিন, রাত পোহালেই মুক্তি পেতে চলেছে বিক্রম বেধা ছবি। বলিউডের নবরাত্রীর অন্যতম মুক্তি। এই ছবি দক্ষিণী ছবি বিক্রম বেধার রিমেক। তবে হিন্দি বিক্রম বেধা দেখার আগে এবার দক্ষিণী ছবির সম্পর্ক খোঁজ করছেন অনেকেই। কেউ কেউ হয়তো ছবহিটি এতোদিনে অপেক্ষা করার ধৈর্য্য না রাখতে পেরে ওটিটি-তেই ঝুঁকেছেন। তবে সেই ছবির পিছনে রয়েছে একাধিক কাহিনি। হিন্দি বিক্রম বেধা দেখার আগে এবার খানিকটা চোখে রাখা যেতেই পারে বিক্রম বেধা আসল ছবির কিছু অজানা কাহিনিতে।
এই গল্প মূলত তৈরি হয়েছিল বিক্রম-বেতাল গল্প অবলম্বণে। রাজা বিক্রমাদিত্য ও বেতালের মধ্যে ঠিক যেমন সম্পর্কের সমীকরণ বর্তমান ছিল, ঠিক একই সূঁতোয় গাঁথা বিক্রম বেধার গল্প, যেখানে সবটা হাতে আসার পরও যেন কিছুতেই শেষ রক্ষা হচ্ছে না… গল্পে কোথাও যেন শেষ রেশটুকু থেকে যায়। এক্ষেত্রে দুই চরিত্রের মধ্যে ঠিক তেমনই একটি টানাপোড়েন বর্তমান।
বিজয় সেতুপতী ও মাধবন প্রথম একে অপরকে দেখেছিলেন ছবির শুটি সেটে। না, ঘটনা চক্রে দেখা হয়ে ওঠেনি এমনটা নয়। পরিচালক নিজেই এমনটা উপদেশ দিয়েছিলেন। শুটিং ফ্লোরের আগে যেন তাঁরা একে অপরকে না দেখেন। ফলে তাঁরা প্রথম শুটিং লোকেশনেই দেখা করেছিলেন।
৭ বছর পর পরিচলদ্বয় পুষ্কর ও গায়েত্রীর এটি ছিল কামব্যাক ছবি। টানা ৪ বছর ধরে এই ছবির স্ক্রিপ্টের ওপর কাজ করেছিলেন এই জুটি। যা দক্ষিণী দুনিয়ায় ঝড় তুলেছিল।
এই পরিচালক জুটি এই ছবির গল্প দুই স্টারকে মাথায় রেখেই তৈরি করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তা পাল্টে যায়। গল্প তৈরি হওয়ার পর তাঁরা স্থির করেন যে এই গল্পের সঙ্গে বিজয় সেতুপতীর ভীষণ মিল। ফলে কাস্ট বদল করা হয়।
সেই ছবি যে বক্স অফিসে কতটা সফল ছিল তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এবার ছবি ঘিরে দর্শকমহলে জল্পনা তুঙ্গে। এখন দেখার জনপ্রিয় দক্ষিণী ছবির হিন্দি রিমেক ঠিক কতটা ঝড় তোলে বক্স অফিসে।