দুর্নিবার সাহা ও ঐন্দ্রিলা সেনের বিয়ের বেশ কিছু দিন পার হয়ে গিয়েছে। তবু ট্রোল চলছে এখনও। এবার ঐন্দ্রিলা ও দুর্নিবারকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন, একদা তাঁর সহপ্রতিযোগী সৌম্য চক্রবর্তী। একদা দুর্নিবারের প্রতিযোগী ছিলেন এই সৌম্য। মাঝেমধ্যেই বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরেও থাকেন তিনি। দুর্নিবারের বিয়ের পরেই একটি পোস্ট করেন তিনি। তিনি লেখেন, “‘পরিণত প্রেমের বিয়ে আর সওদা দুটো আলাদা জিনিস !! মানুষ পরিণত প্রেমের নয়, সওদার সমালোচনা করে….বেশ করে !! উচিৎ করে!’ দুর্নিবারের বিয়ে ও তাঁর এই পোস্টের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে এই ধারণা করেই নেটিজেনরা সৌম্যর ওই পোস্টে করতে থাকেন মন্তব্য। আর এর পরেই নাম না করেই দুর্নিবারকে নিয়ে কমেন্টে নিজের মতামত লেখেন সৌম্য। তিনি লেখেন, ‘আমার সাথে উক্ত আর্টিস্টের দয়া করে যোগসূত্র স্থাপন করো না! …. আমি চার বছর লিভ ইন করে মিডিয়া ডেকে তারপর বিয়ে করে, দেন ছয় মাস পরে ডিভোর্স করে, আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসিনি।” এ কথা কারও অজানা নয় যে প্রথম স্ত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আইনি বিয়ের দিন কয়েক পরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন দুর্নিবার। তা নিয়ে হয় বিস্তর ট্রোলিংও। সৌম্য আরও বলেন, “গায়কটির প্রতি অকুন্ঠ ভালোবাসা আছে, ব্যক্তিটিকে আমি চিনি না। চিনতে চাই ও না… তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমার কিচ্ছু এসে যায় না। আমি সাধারণ মানুষদের পক্ষে কথাগুলো লিখলাম….।”
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। বলেছেন নিজের জীবনের কথা। যে বছর তিনি রিয়ালিটি শো’তে জয়লাভ করেন ওই বছরই রূপসাকে বিয়ে করেন তিনি। যদিও সেই বিয়ে টেকেনি। সে প্রসঙ্গ টেনে এনে সৌম্য আরও লেখেন, “আমার প্রেম ছিল আড়াই তিন মাসের, যাচাই না করে তাড়াহুড়োয় বিয়ে করেছিলাম…, সম্পর্ক ভেঙেছিলো দেড় বছরের মাথায় … তারপর ২০১৯ থেকে সিঙ্গল ছিলাম…. এতদিনে এনগেইজড।” তাঁর প্রেমিকার নাম ঋত্বিকা চক্রবর্তী। যদিও এই পোস্টের সাপেক্ষে কোনও মন্তব্য করেননি দুর্নিবার। তিনি আপাতত মজে নতুন প্রেমে। প্রসঙ্গত, দুর্নিবার ও ঐন্দ্রিলার বিয়েতে হাজির ছিল গোটা টলিউড। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন কনেকর্তা হয়ে। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সবটা তদারকি করেন তিনি। অতিথি আপ্যায়ন থেকে শুরু করে পিঁড়ি ধরা, শাঁখ বাজানো– কোনও কিছুই বাদ দেননি তিনি। অন্যদিকে বসেছিল চাঁদের হাট। দিতিপ্রিয়া রায় থেকে শুরু করে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সকলেই হাজির ছিলেন ওই বিয়েতে। আর মীনাক্ষী? এই বিয়ের মরসুমে মীনাক্ষীর দিন কয়েক পুরনো এক পোস্ট রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। আর ওই পোস্টেই যেন নাম না করেই কার্যত প্রাক্তনকে খোঁচা দিয়েছেন মীনাক্ষী, মনে করা হচ্ছে এমনটাই। সেখানে কী লিখেছেন তিনি?
মীনাক্ষী লিখেছেন, “জীবনে রণবীর সিংয়ের আগমনে জন্য রণবীর কাপুরকে যেতে দিতে হয়”। আপাতদৃষ্টিতে নিপাট এই পোস্টের ভিতরে লুকিয়ে থাকা অর্থ কিন্তু এতটাও সোজা নয়। দীপিকা পাড়ুকোন প্রথমে রণবীর কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। এখন তিনি রণবীর সিংয়ের ঘরণী। শোনা যায়, রণবীর কাপুর নাকি দীপিকার সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন হয়ে পড়েছিলেন অন্য নারীতে আসক্ত। আর রণবীরের সেই ক্যাসানোভা মেজাজ সম্পর্কে কে না জানেন? অন্যদিকে রণবীর সিং কিন্তু এ সবে মোটেই নেই। প্রথম দিন থেকেই তিনি ‘ওয়ান ওম্যান ম্যান’, অর্থাৎ এক নারীতেই আসক্ত তিনি। আর সেই নারী তাঁর স্ত্রী। স্ত্রীর প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য বোধের কারণে নারীমহলেও তিনি বেশ চর্চিত। আর মীনাক্ষী তাই কাপুর নয়, খোঁজ করছেন সিংয়ের। পোস্টের এই যাবতীয় চরিত্রে সঙ্গে যে মুহূর্ত আপনি মীনাক্ষী-দুর্নিবার ও মোহরের সম্পর্কের মিল খুঁজছেন ঠিক সেই মুহূর্তেই আরও একটি বোমা ফাটিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, “এই স্টেটাস নিয়ে আপনি যে সব চিন্তা মাথায় নিয়ে আসছেন, সে সবই সত্যি।” আর ওই বাক্যের মধ্যে দিয়ে না বলেও অনেক কিছু বলে দিয়েছেন তিনি।