দক্ষিণী অভিনেতা এবং সঙ্গীত পরিচালক বিজয় অ্যান্টনির কন্যার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ১৯ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার সকালে ওই কিশেরীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত কিশোরীর নাম মীরা। দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর বয়স ১৬। মাঝরাতে, ৩টে নাগাদ তাঁর শোওয়ার ঘর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। তবে আপাতত মীরার ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। সে কোনও সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছিল কি না, তার খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা।
অভিনেতা তথা সঙ্গীত পরিচালক বিজয়ের চেন্নাইয়ের আলওয়ারপেটের বাসভবন থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর কন্যা মীরার দেহ। চেন্নাইয়ের এক বেসরকারি স্কুলের ছাত্রী ছিল মীরা। কেন এত অল্প বয়সে আত্মহননের পথ বেছে নিতে হল মীরাকে, তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ডিপ্রেশনে (মানসিক সমস্যা) ভুগছিল মীরা। বিজয়ের রয়েছে আরও এক কন্যা। মীরা বড় মেয়ে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ জেনেছে, সোমবার মাঝরাতে মীরার ঘরে ঢুকেছিলেন বাড়ির পরিচারিকা। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে ওই পরিচারিকা জানিয়েছেন, ঘরে ঢুকে তিনিই প্রথম দেখতে পান সিলিং থেকে ঝুলছে মীরার নিথর দেহ। এহেন দৃশ্য দেখার পর বাড়ির অন্যান্য সদস্যকে মীরার ঘরে ডেকে আনেন ওই পরিচারিকা। মীরাকে তৎক্ষণাৎ নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে। মীরাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় হাসপাতালের তরফে। সেখানকার চিকিৎসকেরা পুলিশকে জানিয়েছেন, হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে মীরার।
দিন কয়েক আগে, একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় মীরা। সেখানে পুরস্কৃতও হয় সে। এই ঘটনার পর যথেষ্ট উৎফুল্ল ছিল মীরা। মেয়ের কৃতিত্বের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলাও করে বলেওছিলেন মা ফাতিমা। মা-ই তাঁর অনুপ্রেরণা, জানিয়েছিলেন মীরা। এত প্রাণবন্ত এক কিশোরী কেন ডিপ্রেশনে ভুগছিল, ডিপ্রেশনই তাকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিল কি না, ভাবাচ্ছে অনেককেই।
বিজয় অ্যান্টনি একজন জনপ্রিয় অভিনেতা। তিনি সঙ্গীত পরিচালকও। মূলত, তামিল ছবিতেই কাজ করেন তিনি। তাঁর স্ত্রীর নাম ফাতিমা। বিজয়-ফাতিমার দুই সন্তান। বড় মেয়ে মীরা এবং ছোট মেয়ে লারা।