মাদুরাইয়ের থিরুপারাকুন্দ্রমের জনবহুল রাস্তা থেকে উদ্ধার হল তামিল অভিনেতা মোহনের নিথর দেহ। মৃত্যুর কারণ এখনও অজানা। যদিও প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, তাঁর মৃত্যুতে কোনও অস্বাভাবিকত্ব নেই। ইতিমধ্যেই তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাদুরাই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, প্রথম দিকে অভিনেতা হিসেবে জীবন শুরু করলেও পরবর্তীতে মাদুরাইয়ের ওই অঞ্চলে তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। অভিনয়ে বড় সুযোগ কিছুতেই মিলছিল না মোহনের। স্ত্রীকেও হারান বছর দশেক আগে। করোনার আগমনে তছনছ হয়ে যায় সব কিছুই। এর পরেই কার্যত বাধ্য হয়েই ওই পেশা বেছে নেন তিনি, জানাচ্ছেন তাঁরই ঘনিষ্ঠরা।
তাঁর তিন বোন ও দুই ভাই রয়েছে। তাঁদেরও খবর দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। মৃত্যুকালে মোহনের বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৬০ বছর। তিনি খর্বকায় (বামন), আর এই দৈহিক বৈশিষ্ট্যের জন্যই কমল হাসানের সঙ্গেও ছবিতে ব্রেক মেলে তাঁর। কমল হাসানের ছবি ‘অপূর্ব সাগধারাগাল’-এ দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কমল হাসানের বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সেখান থেকেই মূলত পরিচিতি মেলে তাঁর। এখানেই শেষ নয়, বাবা পরিচালিত ‘নানা কাদাভুল’-এ ভিক্ষুকের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। প্রাথমিক ভাবে পরিচিত পেলেও তা স্থায়ী হয়নি। ঠিক কী কারণে তিনি মারা গেলেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।