‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিয়েছিলেন সাংবাদিককে। জবাব না দিয়েই করেছিলেন চোটপাট। কিছু দিন যেতে না যেতেই বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী গলায় উল্টো সুর। ক্ষমা চাইলেন তানজিন তিশা। তাঁর যুক্তি, নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। আরও বলেন, “ইচ্ছাকৃত বলিনি। কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।” কী ঘটেছিল তানজিন তিশার সঙ্গে যে ক্ষমা চাইতে হল তাঁকে?
দিন কয়েক আগেই মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিশা। শোনা যায়, প্রেমের সম্পর্কে ঝগড়ার কারণেই নাকি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। তা নিয়ে চলে জোর চর্চা। যদিও হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই তিশার মুখে শোনা যায় অন্য সুর। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এমনটা মোটেও সত্যি নয়। আত্মহত্যার ‘ভুয়ো’ খবর নিয়ে লোকের ভুল ভাঙাতে, ফেসবুকে এক লাইভও করছিলেন তিনি। নায়িকার দাবি, কোনও অঘটনা ঘটাতে নয়, বরং ঘুমোনোর জন্যই তিনি ওষুধ খেয়ে নেন। কিন্তু চিকিৎসকের প্রেসক্রাইব করা ওষুধ না হওয়ায়, তা বেশি হয়ে যায় বলে জানান তিনি।
তাঁর কথায়, “বমি শুরু হয়। শরীর খারাপ হয়ে যায়। বেশি খেয়ে নিয়েছিলাম। তিনি আরও বলেন, তাঁর ফেসবুক হ্যাক হওয়াতেই নাকি মারাত্মক চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেই কারণে ঘুমের ওষুধ খান। যদিও চিঁড়ে ভেজেনি। ক্রমাগত মিডিয়া-সোশ্যাল মিডিয়ার জেরার মুখে পড়তে হয়েছে অভিনেত্রীকে। আর সেই কারণেই তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কুকথা বলে ফেলেছেন বলে দাবি করেছেন তানজিন।